রাজনৈতিক সরকার না আসা পর্যন্ত অস্থিতিশীল অবস্থা কাটবে না: খসরু
নিউজ দর্পণ, ঢাকা: রাজনৈতিক সরকার না আসা পর্যন্ত অস্থিতিশীল অবস্থা কাটবে না’ বলে মন্তব্য করেছেন বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য আমীর খসরু মাহমুদ চৌধুরী। আজ বৃহস্পতিবার দুপুরে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে তিনি এই মন্তব্য করেন। দুপুরে রাজধানীর হাতিরঝিলে মহানগর প্রজেক্টের বাসায় গণঅধিকার পরিষদের সভাপতি নুরুল হক নূরকে দেখতে যান আমীর খসরু। তিনি তার সাথে কথা বলেন এবং তার চিকিৎসার খোঁজ-খবর নেন। পরে সাংবাদিকদের সাথে কথা বলেন খসরু। তিনি জানান, উন্নত চিকিৎসার জন্য নূর সিঙ্গাপুরে যাচ্ছেন। গত ২৯ আগস্ট রাতে বিজয়নগরে জাতীয় পার্টির নেতা-কর্মীদের সঙ্গে গণঅধিকার পরিষদের নেতা-কর্মীদের সংঘর্ষ হয়। পরে দুই পক্ষকে ছত্রভঙ্গ করতে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী হস্তক্ষেপ করে। এ সময় নুরুল হক নুর এবং দলের সাধারণ সম্পাদক রাশেদ খানসহ অন্তত ৫০ জন আহত হন। গুরুতর আহত হওয়ায় নুরকে প্রথমে ইসলামী ব্যাংক হাসপাতালে এবং পরে চিকিৎসকদের পরামর্শে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের স্থানান্তর করা হয়। ১৮ দিন ঢাকা মেডিকেল কলেজে চিকিতসার সোমবার বাসায় ফেরেন নুরুল হক নুর।
আমীর খসরু মাহমুদ চৌধুরী বলেন, আমরা দেশে একটা স্থিতিশীল অবস্থায় চাই, দেশের মানুষ তো একটা স্থিতিশীল স্টেবিলিটি চায়ৃ.বাংলাদেশটাকে তো আস্তে-ধীরে তো একটা গণতান্ত্রিক অর্ডারে ফিরিয়ে নিয়ে একটা স্থিতিশীল অবস্থার মাধ্যমে সকলের জীবন যাতে নিরাপদ থাকে এটা চায়। নুরু যেটা বলল যে আমরা যত তাড়াতাড়ি নির্বাচনের মাধ্যমে দেশে একটা গণতান্ত্রিক দেশ পাব যে সরকারের একটা জনগণের সমর্থন থাকবে, যারা রাজনৈতিকভাবে শক্তিশালী থাকবে। সরকারের শক্তি যোগান জনগণের। তো সেটার অনুপস্থিতিতে তো ঘটনা এরকম ঘটতেই থাকবেৃ আরো বেশি ঘটবে আগামী দিনে। যত তাড়াতাড়ি আমরা নির্বাচনের দিকে গিয়ে দেশে একটা রাজনৈতিক পরিবেশ ফিরিয়ে আনতে পারব একটা নির্বাচিত সরকার জনগণের সমর্থন নিয়ে যাদের সব রাষ্ট্রের সব অঙ্গগুলো যারা রাজনৈতিক শক্তির অধীনে নিয়ন্ত্রিত থাকতে পারে সেটা তো একমাত্র নির্বাচিত সরকার ব্যতীত সম্ভব না। তা না হলে এই ধরনের ঘটনা তো ঘটতেই থাকবে, অস্থিতিশীল অবস্থা কাটবে না।
আমীর খসরু বলেন, যত তাড়াতাড়ি আমরা নির্বাচনের দিকে গিয়ে দেশে একটা রাজনৈতিক পরিবেশ ফিরিয়ে আনতে পারব একটা নির্বাচিত সরকার জনগণের সমর্থন নিয়ে, রাষ্ট্রের সব অঙ্গগুলো যারা একটি রাজনৈতিক শক্তির অধীনে নিয়ন্ত্রিত থাকতে পারে সেটা তো একমাত্র নির্বাচিত সরকার ব্যতীত সম্ভব না। তা না হলে ঘটনা তো ঘটতেই থাকবে।এখানে জবাবদিহিতার সংকট, এখানে সংসদ নাই, এখানে জবাবদিহিতার একটা অনুপস্থিতি তো আছেইৃ এটা তো আমাদের অস্বীকার করতে পারি না, এটার জন্য কাউকে দোষারোপ করে লাভ নাই। দেশে একটা নির্বাচিত সরকার না। যে জবাবদিহিতা, দায়বদ্ধতা এগুলো তো একটা অনুপস্থিতি থাকারই কথা সুতরাং সেটা আছে।
আমীর খসরু বলন, এটা(পিআর পদ্ধতির নির্বাচন” চাইতেই পারে কোনো অসুবিধা নাই। আরও অন্যান্য অন্য কিছু চাচ্ছে। আমাদেরও আবার চাওয়ার কিছু আছে। সব জায়গায় যে ঐক্যমত হয়েছে তা তো না ঐক্যমত হওয়ারই কথা না। কারণ সবাই বিভিন্ন দল,বিভিন্ন দর্শন, বিভিন্ন চিন্তা ভাবনা। সুতরাং সব জায়গাতে ঐক্যমত হবে এটা কেউ বিশ্বাস করার কোন কারণ নাই। তাইলে তো আলাদা আলাদা দল হইতো না। আমরা বাকশাল হয়ে যেতাম তাই না। সুতরাং সেই চাওয়াটা অসুবিধা নাই। কিন্তু সে চাওয়াটা জনগণের কাছে যেতে হবেৃ নির্বাচনের মাধ্যমে জনগণের ম্যান্ডেট নিয়ে সেটা পূরণ করতে হবে আর এটাই গণতন্ত্র।
‘গণতন্ত্র না হলে পরাজিতরা লাভবান হবে বলে জানিয়ে তিনি বলেন, যারা গণতন্ত্র বিশ্বাস করে তাদের জনগণের উপর আস্থা থাকতে হবে তাদের যে ভবিষ্যতে তাদের যে কর্মসূচি, যে পরিবর্তন যারা আনতে চায় প্রত্যেকটি দলের তারা জনগণের ম্যান্ডেট নিয়ে সেটা সংসদে আসবে, আলোচনা হবে, বিতর্ক হবে, তারপর পাশ হবে এটাই গণতন্ত্রৃ এটাতে বিশ্বাস করতে হবে। এটাতে বিশ্বাস না করলে দেশে স্থিতিশীলতা আসবে না, এটাতে বিশ্বাস না করলে আবার একটা পরাজিত শক্তির জন্য আমরা দ্বার উন্মুক্ত করে দেব, তাদের জন্য তো আমরা স্পেস ক্রিয়েট করে দেব তাই না।
আমীর খসরু বলেন, এখন তো দেশ নির্বাচনের দিকে যাচ্ছে এবং এটার জন্য তো আমরা গত ১৫/১৬ বছর এত ত্যাগ স্বীকার করেছে সবাই মিলে। নির্বাচনের সাথে কোন পার্টির কি দাবি-দাওয়া এটার কোনো সম্পর্ক নাই, তাদের দাবি-দাওয়া থাকতেই পারে, সেই দাবি দেওয়া নিয়ে তাদের জনগণের কাছে যেতে হবে, জনগণের ম্যান্ডেট নিয়ে সংসদে আসবে, তারপর সেটা পাশ করতে পারবেৃ কোন অসুবিধা নাই। কিন্তু এসব দাবির সাথে নির্বাচনের প্রক্রিয়ার সাথে কোন সম্পর্ক নাই। তবে কেউ যদি এই পর্যায় অস্থিতিশীল করতে চায় তাদেরকে রাজনৈতিকভাবে এটার জন্য ক্ষতিপুরণ দিতে হবে।