ড. ইউনূস ছাড়া অন্য উপদেষ্টাদের দৃশ্যমান সাফল্য দেখতে পাই না: মির্জা আব্বাস
নিউজ দর্পণ, ঢাকা : বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য অবিভক্ত ঢাকা সিটি করপোরেশনের সাবেক মেয়র সাবেক মন্ত্রী ঢাকার প্রাণপুরুষ মির্জা আব্বাস। সাম্প্রতিক সময়ে দেশের চলমান রাজনৈতিক পরিস্থিতি সহ-নানা বিষয়ে তার রাজধানীর শাহজাহানপুরের বাসায় একান্তে কথা বলেন নিউজ দর্পণের সঙ্গে। সাক্ষাৎকারটি নিয়েছেন ব্রেকিংনিউজের জ্যেষ্ঠ প্রতিবেদক এস এম আতিক হাসান। সাক্ষাৎকারটি পাঠকদের জন্য তুলে ধরা হল:-
নিউজ দর্পণ: অন্তর্বর্তী সরকারের কার্যক্রমকে কীভাবে মূল্যায়ন করবেন?
মির্জা আব্বাস: প্রধান উপদেষ্টা ড. ইউনূস ছাড়া সরকারের অন্য উপদেষ্টাদের দৃশ্যমান তেমন কোনো সাফল্য দেখতে পাই না। ড. ইউনূসের সাফল্যগুলো দৃশ্যমান এবং ফলপ্রসূ। আশা করি, অবিলম্বে সংস্কার কার্যক্রম শেষ করে দ্রুত নির্বাচন হবে।
নিউজ দর্পণ: ত্রয়োদশ সংসদ নির্বাচন নিয়ে অনেক কথা হচ্ছে। আবারও প্রধান উপদেষ্টার সঙ্গে বৈঠক কেনো? নির্বাচন নিয়ে বিএনপি কী বলবে?
মির্জা আব্বাস: ১৭ বছর ধরে আমরা নিরপেক্ষ নির্বাচনের দাবি জানিয়ে আসছি। এ কারণেই তো আওয়ামী লীগ সরকারের বিরুদ্ধে যত যুদ্ধ-বিগ্রহ এবং আন্দোলন-সংগ্রাম করেছি। এটি পুরোনো দাবি। এখনো সে দাবিতেই আছি এবং নতুন কোনো দাবি করিনি। আমরা ভেবেছিলাম, এই সরকার (অন্তর্বর্তী) আসার পরই স্বাভাবিকভাবেই তারা নির্বাচনের চিন্তা করবে। কারণ সারা বিশ্ব যেখানে গণতন্ত্রের দিকে ঝুঁকে আছে সেখানে অগণতান্ত্রিক একটি দেশ টিকে থাকবে, এটা ঠিক না।
তিনি বলেন, ড. মুহাম্মদ ইউনূস সাহেব সবার কাছে একজন শ্রদ্ধেয় ব্যক্তি। তিনি কথা দিয়েছেন এবং বলেছেন যে, ডিসেম্বরের মধ্যে নির্বাচন করব। আবার তিনি জুন মাসের কথাও বলেছেন। কিন্তু জুন মাস এমন এক সময় যেটি নির্বাচনের সময় নয়। কারণ জুন তো পরিপূর্ণ বর্ষাকাল। সেজন্য নির্বাচনের বিষয়টি আমাদের বিভ্রান্তিতে ফেলেছে। আসলে কোনটা সঠিক? পত্রিকায় (রোববার) দেখলাম, ড. ইউনূস সাহেব নির্বাচনের জন্য দ্রুত সংস্কারের তাগিদ দিয়েছেন। তার মানে প্রধান উপদেষ্টা নির্বাচন দেওয়ার ব্যাপারে যথেষ্ট আগ্রহী। কিন্তু তার আশপাশে এবং সরকারের রন্ধ্রে রন্ধ্রে এখনো যে আওয়ামী বাহিনী লুকিয়ে রয়েছে। তারা প্রধান উপদেষ্টাকে হয়তো অন্য পথে পরিচালনা করতে পারে বা বিভ্রান্ত করতে পারে। এমন আশঙ্কা ও সম্ভাবনা থেকেই আমরা প্রধান উপদেষ্টার সঙ্গে দেখা করতে চেয়েছি। কারণ উনি সঠিক রাস্তায় থাকতে পারবেন কি না?
মির্জা আব্বাস বলেন, আওয়ামী লীগ ও হাসিনা গেছে; কিন্তু তার প্রেতাত্মা এখনো সচিবালয়ের ভেতরে ও বাইরে বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানে এমনকি ব্যবসায়িক প্রতিষ্ঠানে কিংবা বিভিন্ন মিডিয়ায় জেঁকে বসে আছে। আমাদের বক্তব্যকে কাটছাঁট ও বিকৃত করে আংশিক প্রচার করা হয়। সেজন্য আমাদের সন্দেহ হয় যেখানে, প্রধান উপদেষ্টা বলেন ডিসেম্বরে নির্বাচনের কথা, আবার আরেকজন বলেন জুনে নির্বাচনের কথা, আবার আরেকজন বলেন ৫ বছর এই সরকার থাকার দরকার, জনগণ চায়। এই যে এলোমেলো কথাগুলো—এতে একটা বিভ্রান্তিকর পরিবেশ তৈরি হয়েছে। এতে তো জনগণের সন্দেহ রয়েই যায়। আমরাও দ্বিধাদ্বন্দ্বে ও বিভ্রান্তিতে আছি। এটাকে পরিষ্কার করার জন্যই আমরা প্রধান উপদেষ্টার কাছে যাব (আজ বৈঠক হওয়ার কথা)।
নিউজ দর্পণ: সরকার নির্বাচনের নির্দিষ্ট রূপরেখা না দিলে বিএনপি কী করবে?
মির্জা আব্বাস: আগে আলোচনাটা হোক। কী আলোচনা হয় দেখি, শুনি তারপর এ বিষয়ে কথা বলব।
নিউজ দর্পণ: সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে বিএনপি নেতাকর্মীদের নিয়ে নেতিবাচক প্রচারণা চলছে। আবার ড. ইউনূসের বিভিন্ন বিষয় ইতিবাচক প্রচারণা চালানো হচ্ছে। কী বলবেন?
মির্জা আব্বাস: আসলে আওয়ামী শাসকগোষ্ঠীর হাতে প্রচুর টাকা। তারা দেশের অভ্যন্তরে এবং দেশের বাইরে থেকে বিভিন্নভাবে বিভিন্ন লোককে প্রভাবিত করে ফেসবুকে, সোশ্যাল মিডিয়ায় লোককে টাকা দিয়ে লেখাচ্ছে। বিষয়টা হলো- যারা বলছে যে, ড. ইউনূসকে ৫ বছর ক্ষমতায় রাখার কথা। এটা হলে কিন্তু ক্ষতিটা তো ড. ইউনূসের হবেই সঙ্গে দেশেরও ক্ষতি হবে। তারা ইউনুসের সম্মান তো শেষ করবেন সঙ্গে দেশটাকে ধ্বংস করবেন। কারণ হলো- আজকে যারা ইউনূস সাহেবকে ৫ বছর ক্ষমতায় রাখার কথা বলছে ও চেষ্টা করছে তারাই কিন্তু ইউনূসকে অজনপ্রিয়তার চূড়ান্ত পর্যায়ে নিয়ে যাবে। এভাবে তাকে (ইউনূস) পচাবে এবং তার সমগ্র অর্জন শেষ করে দিবে। কেননা, একটা অনির্বাচিত সরকার তো ক্ষমতায় থাকতে পারে না।
তিনি বলেন, ড. ইউনূস সাহেব ৫ কেনো যতদিন আয়ু দিছে ততদিন থাকুক না। তবে সেটা নির্বাচনের মাধ্যমে হতে হবে। তিনি দল করতে চাইলে করবেন। প্রধানমন্ত্রী হোন আর প্রধান উপদেষ্টা হোন সেটা যাতে নির্বাচনের মাধ্যমে হয়। কোনো সমস্যা তো নাই। কিন্তু এভাবে তো থাকা যাবে না।
নিউজ দর্পণ: ৫ আগস্টের পর অনেক নেতাকর্মীর বিরুদ্ধে দখল, চাঁদাবাজির অভিযোগ রয়েছে। এমনকি আপনার বিরুদ্ধেও রেল ওয়ের জায়গা দখলের অভিযোগ রয়েছে এ বিষয়ে কী বলবেন?
মির্জা আব্বাস: বিএনপির নেতাকর্মীদের বিরুদ্ধে চাঁদাবাজির অভিযোগ ওঠা স্বাভাবিক। মরহুম সাইফুর রহমান (বিএনপির সাবেক মহাসচিব) সাহেব একটা কথা সবসময় বলতেন যে, হাড্ডির পাশের মাংসটা খুব নরম এবং খেতে খুব মজা লাগে। বিএনপি একটি বিরাট ও জনপ্রিয় রাজনৈতিক দল। তো স্বাভাবিকভাবেই জনগণ ধরে নিয়েছে যে, বিএনপি আগামীতে ক্ষমতায় আসবে। কেনো ভেবেছে আমি জানি না। তবে বিএনপি এই যে ক্ষমতায় আসবে এই চিন্তা করেই একটি দল অস্থির হয়ে আছে। সেজন্য বিএনপির নেতৃবৃন্দ ও সাধারণ নেতকর্মীসহ সবাইকে তারা চাঁদাবাজ, দখলদারীসহ বিভিন্ন অপবাদ দিচ্ছে।
তিনি বলেন, মূলত আমার দেখা ও জানামতে অন্য কয়েকটা রাজনৈতিক দল একটা নতুন দল আরেকটা পুরনো দল তারা তো প্রাতিষ্ঠানিকভাবে সর্বোচ্চ চাঁদাবাজি করতেছে। তারা ঘোষণা দিয়ে চাঁদাবাজি করছে। তারা বলতেছে যে, তাদের অর্থের উৎস কোত্থেকে আসে? এটা বলা যাবে না। তাহলে কী বোঝায়? কারণ টাকার উৎস বলে দিলে তো তার ক্ষতি হবে। এ সব কথার অর্থ আমরা বুঝি, ফিডার তো খাই না। চাঁদাবাজি করতেছে সবাই আর নাম বলে বিএনপির। অসম্ভব। বিএনপি চাঁদাবাজি করে না। প্রথম দিকে কিছু ছিল সেগুলো আমরা কঠোরভাবে নিয়ন্ত্রণ করেছি। আমার নেতা তারেক রহমান অনেক বহিষ্কার করেছেন। এখন এই মুহুর্তে বিএনপিকে চাঁদাবাজির অপবাদ দেওয়াটা হলো অন্যায়। এই মুহুর্তে বিএনপি চাঁদাবাজি করছে না।
নিজের বিরুদ্ধে রেলের জমি দখলের অভিযোগ প্রসঙ্গে ঢাকার সাবেক মেয়র মির্জা আব্বাস বলেন, এখন আমার বিরুদ্ধে বলা হচ্ছে যে, আমি নাকি রেলওয়ের ৫১ কোটি টাকার জমি দখল করেছি। এখনই যদি ৫১ কোটি টাকার জমি দখল করি তাহলে বিএনপি ক্ষমতায় আসলে কী হবে? সম্ভবত ২০০৬ সালের আগে একটি পত্রিকার রিপোর্ট আবারও কাট-পেস্ট করে আওয়ামী লীগের যারা আমার নির্বাচনী প্রতিদ্বন্দ্বি ছিল তারা এটা করেছে। বিভিন্ন ব্লগাররা এটা বলছে। আমি স্পষ্টভাবে বলছি- পুরো শাজাহানপুর এলাকার অর্ধেকটাই আমার পৈতৃক ও আত্মীয়স্বজনের সম্পত্তি। আমাদের অনেক জমি দখল করা হয়েছে। রেলওয়ে ১৯৫৭,৫৮ ও ১৯৫৯-৬০ সালে অধিগ্রহণ করেছে। বরং রেলওয়ে আমার জমি দখল করেছে। আউটার সার্কুলার রোড যেটা সেখানে ৫ ফুট গর্ত ছিল, ধানের খেত ছিল একসময়। আজকে বলা হচ্ছে আমি নাকি রেলের জমি দখল করেছি! বরং রেলওয়ে আমার জমি দখল করেছে। এটা নিয়ে আদালতে মামলা চলমান। যারা বিভ্রান্তিকর তথ্য ছড়াচ্ছে তাদের বলবো- এই জমিতে আমরা ৮ পুরুষ বসবাস করি। তখন ঢাকা শহরে রেলওয়ের জন্ম হয়নি। এর আগে থেকেই আমরা বসবাস করি। আসলে আমাদের বিরুদ্ধে উদ্দেশ্যমূলকভাবে হেয় প্রতিপন্ন করার জন্য এটা করা হচ্ছে।
নিউজ দর্পণ: নির্বাচন সামনে রেখে আপনিসহ বিএনপির অনেক নেতাকর্মীর বিরুদ্ধে চরিত্র হননের বিষয় দেখা যাচ্ছে। এর পেছনে আওয়ামী লীগ দায়ী? নাকি বর্তমান সরকারের ভেতর থেকে করা হচ্ছে?
মির্জা আব্বাস: আসলে এই মুহুর্তে আওয়ামী লীগ তো আছেই। পাশাপাশি আরও দুটো রাজনৈতিক দল আছে। তারাই উদ্দেশ্যমূলকভাবে কাজগুলো করছে। তাদের টাকা আছে এখন। সোশ্যাল মিডিয়ায় বিএনপি নেতাকর্মীদের বিরুদ্ধে প্রচুর টাকা ব্যয় করছে। বহুমুখে কনসার্টেড ওয়েতে এটা করছে। তারা মির্জা ফখরুলের বিরুদ্ধে কথা বলছে। তারা আমীর খসরুর বিরুদ্ধে, সালাহ উদ্দীন আহমদের বিরুদ্ধে এবং আমার বিরুদ্ধে বলতেছে। কিন্তু কথাটা হলো- এই যে, গত ২০/২৫ বছর এতো কষ্ট করলাম, আন্দোলন সংগ্রাম করলাম, জেলে গেলাম তখন তো উনারা এসব সত্য কথা বলেননি। এখন বলতেছেন কেনো? অনেক বছর পার হয়ে গেছে তো। সর্বশেষ আমরা ২০০৮ সালে ইলেকশনে যাই, তখন তো এতো কথা হয় নাই। এখন হচ্ছে। কারণ তারা এখন আমাদের প্রতিপক্ষ ভাবছে। আমরা কাউকে প্রতিপক্ষ নয়, প্রতিদ্বন্দ্বী ভাবি।
নিউজ দর্পণ: নির্বাচনে তো বরাবরই বিএনপি-আওয়ামী লীগ শক্ত প্রতিদ্বন্দ্বীতা হয়। এখন যারা নতুন তারা বিএনপির কাছাকাছি যেতে পারে কিনা? তাদের ভোটের অবস্থা বিষয়ে আপনি কি মনে করেন?
মির্জা আব্বাস: এটি নির্বাচনের সময় এলে বলা যাবে। একটা নির্বাচন হয়ে গেলে টের পাবে। ইলেকশন তো এখনও শুরু হয়নি। সেটি শুরু হোক। তবে আমরা নির্বাচনে জয়লাভ করবো এটা নিয়ে সবসময় আশাবাদী।
নিউজ দর্পণ: বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের মামলাগুলো নিষ্পত্তি হয়েছে। তবুও তিনি দেশে আসছেন না কেনো? জিয়া পরিবার নিয়ে কোনো চক্রান্ত আছে কি না?
মির্জা আব্বাস: তারেক রহমানের পরিবার তো জীবনের ঝুঁকি নিয়ে জীবন দিয়ে ও জীবন বাজি রেখে দেশটাকে রক্ষা করার চেষ্টা করেছেন। আজকে একটা বাচ্চা ছেলে বলছে- জিয়াউর রহমান ক্ষমতায় থেকে দল গঠন করেছিলেন। আরে ভাই জিয়াউর রহমানের সময় ক্ষমতায় থেকে দল গঠন করা আর এখন দল গঠন করা কী এক কথা নয়। জিয়াউর রহমান ক্ষমতায় আসার আগেই ক্ষমতায় ছিল। সেটা হলো তিনি ১৯৭১ সালে স্বাধীনতার ঘোষণা দিয়ে জনগণের মনে স্থান করে নেন। ওই সময়ই বিএনপি হয়ে গেছে। যদিও নামকরণ হয়নি। জিয়াউর রহমানের প্রতি মানুষের ভালোবাসা তখন থেকেই শুরু হয়েছে। তারপর ১৯৭৫ সালের ৭ নভেম্বর আরেকবার দেশটাকে বাঁচালেন জীবনের ঝুঁকি নিয়ে। তাকে বন্দি অবস্থা থেকে সাধারণ মানুষ ও সিপাহীরা জেল খানা থেকে মুক্ত করেন। তখন তো উনারও ফাঁসি হতে পারতো। তিনি জীবনের ঝুঁকি নিয়ে যুদ্ধ করেছেন দেশের মাটিতে থেকে। অন্যান্য সেক্টর কমান্ডারদের মতো উনার দেশের বাইরে অফিস ছিলো না। অফিস ছিল সিলেটে বাংলাদেশের অভ্যন্তরে। জিয়াউর রহমান কমান্ডও করেছেন যুদ্ধও করেছেন। জীবনের ঝুঁকি নিয়েছেন, স্বাধীনতার ঘোষণা দিয়েছেন। ৭ নভেম্বর জীবনের ঝুঁকি নিয়েছেন। তারপর বেগম খালেদা জিয়া ঝুঁকি নিয়ে তিনি এখনো বেঁচে আছেন। যদিও তাকে স্লো পয়জনিং করা হয়েছে। আমরা তারেক রহমানকে এই মুহুর্তে ঝুঁকিতে ফেলতে চাইনা। এটা আমার ব্যাক্তিগত মতামত। তবে দেশের মানুষের কামনা ও প্রত্যাশা এই যে তারেক রহমান শিগগিরই দেশে আসুক। কারণ চুন খেয়ে দই দেখলে মানুষ ভয় পায়।
নিউজ দর্পণ: বিএনপি নির্বাচন চায় কিন্তু প্রচারণায় নেই? আবার জামায়াতে ইসলামী ও এনসিপি পোস্টারসহ নানাভাবে ভোটের প্রচারণা চালাচ্ছে। কী বলবেন?
মির্জা আব্বাস: বিষয়টা হলো আমরা নির্বাচন চাচ্ছি, অন্য দলগুলো চাচ্ছেনা (আগে সংস্কার পরে নির্বাচন)। অন্যদিকে জামায়াত-এনসিপি তাদের পোস্টার, লিফলেট, প্রচার-প্রচারণা, শোডাউন সবই চলছে। এতে কী বোঝায় যে, তারা নির্বাচন চায় না? বরং তারা নির্বাচন চায় না কিন্তু নির্বাচনী কর্মকান্ড ও প্রস্তুতিতে অনেক বেশি এগিয়েছে। আমরা তো বলছি- এই সরকার যখন নির্বাচনের ঘোষণা দিবে তখন আমরা নির্বাচনী কার্যক্রম শুরু করবো। আমরা তো এখনও শিওর না যে, ওরা নির্বাচন দিবে কি না? কিন্তু ওরা শিওর হয়ে কাজকর্ম শুরু করে দিছে। আসলে ছোট বাচ্চাদের মুখে যখন কথা ফুটলে তারা অনেক বেশি কথা বলে। সুতরাং জামায়াত বহুদিন কথা বলতে পারে নাই তো ওই জন্য কথা বলতেছে এখন।
নিউজ দর্পণ: সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে বিএনপি ও নেতাকর্মীদের বিরুদ্ধে নেতিবাচক প্রচারণা মোকাবিলায় বিএনপি কি করছে?
মির্জা আব্বাস: সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে আমাদের বিরুদ্ধে উদ্দেশ্যমূলকভাবে কনসার্টেড ওয়েতে নেতিবাচক প্রচারণা চালানো হচ্ছে। এটা সকলেই বুঝতে পেরেছেন। তো নিশ্চয়ই এসব অপপ্রচার মোকাবিলার জন্য আমরাও চেষ্টা চালাবো।
নিউজ দর্পণ: বিএনপির জাতীয় কাউন্সিল হয় না অনেক বছর। এ বিষয়ে এই মুহুর্তে দলের কোনো চিন্তাভাবনা আছে কি না?
মির্জা আব্বাস: আসলে দলের জাতীয় কাউন্সিল হওয়াটা প্রয়োজন। বিএনপির মতো বড় দল নয় শুধু নির্ধারিত সময়ের মধ্যে যে কোনো দলের কাউন্সিল হওয়া দরকার। কিন্তু বিভিন্ন রাজনৈতিক প্রতিবন্ধকতার কারণে আমাদের কাউন্সিল করা সম্ভব হয় নাই। তার অর্থ এই না যে, আমাদের কাউন্সিল হচ্ছে না। আমাদের কিন্তু বর্ধিত সভা হয়েছে। এটাকে আমরা কাউন্সিলের অংশ হিসেবে বলতে পারি। তবে যেটা ফরমাল কাউন্সিল যেখানে ইলেকশন/সিলেকশন হয় সেটা হয়নি। এখন আগামী নির্বাচনের আগ মুহুর্তে সেটাকে প্রয়োজন মনে করছি না আমরা।
নিউজ দর্পণ: সময় দেওয়ার জন্য আপনাকে অশেষ ধন্যবাদ।
মির্জা আব্বাস: ব্রেকিংনিউজ তার পরিবার পাঠককেও ধন্যবাদ।