বৃষ্টিতে বেড়েছে সবজির দাম, মরিচের কেজি ৩০০ পার
নিউজ দর্পণ, ঢাকা: টানা বৃষ্টির অজুহাতে ঢাকার বাজারগুলোতে শাক-সবজির দাম কিছুটা বেড়েছে। সবচেয়ে বেশি বেড়েছে কাঁচামরিচের। প্রতিকেজি কাঁচামরিচ বিক্রি হচ্ছে ৩০০ থেকে ৩২০ টাকায়। যা আগের সপ্তাহে ছিল ৮০ থেকে ১০০। এছাড়া বেগুনসহ একাধিক সবজির দাম কেজিতে বেড়েছে ৫ থেকে ১০ টাকা। দেশের বিভিন্ন স্থানে টানা বৃষ্টির প্রভাবে বাজারে শাক-সবজির সরবরাহ কমে যাওয়ায় এসব পণ্যের দাম বেড়েছে বলে জানিয়েছেন বিক্রেতারা।
শুক্রবার (১১ জুলাই) রাজধানীর মিরপুরের মুসলিম বাজার, ১১ ও ১২ নম্বর কাঁচাবাজার ঘুরে এ চিত্র দেখা গেছে। ক্রেতাদের অভিযোগ, বৃষ্টির অজুহাতে সব ধরনের সবজির দাম বাড়িয়ে দিয়েছেন বিক্রেতারা।
১১ নম্বর কাঁচাবাজারের সবজি বিক্রেতা রইস উদ্দিন বলেন, যে কাঁচামরিচ আগের দিন কিনেছিলাম ১০০ টাকা কেজি, সেটা এখন কেনা লাগছে ২৮০ থেকে ২৯০ টাকা। ঢাকার বাইরে থেকে পণ্য আসছে না। আবার টানা বৃষ্টি হওয়ায় পাইকারি ব্যবসায়ীরা মজুত করে দাম বাড়িয়ে দিতে পারেন, এ জন্য দাম একটু চড়া। তবে বৃষ্টি শেষ হলে দাম আবার আগের মতো হয়ে যাবে।
মুসলিম হোসেন নামের আরেক বিক্রেতা বলেন, পাইকারি বাজারে কাঁচামরিচের সরবরাহ খুব কম। পাইকারি বাজার থেকে ২৫০ টাকার ওপরে কাঁচামরিচ কিনতে হয়েছে। খুচরা বিক্রেতাদেরও বেশি দাম দিয়েই কিনতে হচ্ছে।
এদিকে প্রতিকেজি টমেটো ১০ টাকা বেড়ে বিক্রি হচ্ছে ৯০-১২০ টাকা, একইভাবে বেগুন ৯০-১০০ টাকা। করলা ৮০ টাকা, পটোল, ঝিঙে, ধুন্দল ৬০-৭০ টাকা, শসা ৬০-৮০ টাকা, কচুরমুখি ৮০-১০০ টাকা, কাঁকরোল ৮০-১০০ টাকা, সজনেডাটা ১২০-১৪০ টাকা, ঢেঁড়স ৪০-৫০ টাকা, কাঁচা পেঁপে ৩০-৪০ টাকা, কাঁচকলা ৩০-৪০ টাকা হালি, বরবটি ৬০ টাকা কেজিতে বিক্রি হচ্ছে।
সবজি বিক্রেতা সোবহান আহমেদ বলেন, কয়েকদিন ধরে বৃষ্টি হচ্ছে। অনেক জায়গায় বন্যা হয়েছে। ফলে সবজি আর আগের মতো পাওয়া যাচ্ছে না। সরবরাহ কমে যাওয়ায় দামও বেড়ে গেছে।
তবে বাজারে স্থিতিশীল রয়েছে আলু, মসলা,মাছ ও মাংসের দাম। দেশি পেঁয়াজ প্রতি কেজি মানভেদে ৫৫-৬০ টাকা, দেশি আদা ১৩০-১৫০ টাকা, দেশি রসুন ১২০-১৫০ টাকা, আমদানি করা রসুন ১৯০-২০০ টাকা, দেশি মসুর ডাল (চিকন দানা) ১৪০ টাকা, আমদানি করা মসুর ডাল (মোটাদানা) ১১৫-১২০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। প্রতি ডজন ডিম ১২৮-১৩০ টাকা, প্রতিকেজি গরুর মাংস ৭৫০-৮০০, খাসির মাংস ১১০০-১২০০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে।
মুসলিম বাজারে সোনালি মুরগির দরদাম করতে দেখা যায় শেফালী আক্তারকে। তিনি বলেন, সুপের জন্য মুরগি কিনবো, দোকানদার ২৯০ টাকা কেজি বলছে। আমি ২৮০ টাকা দিয়ে গত সপ্তাহে কিনেছি। এখন দরদাম করছি।
সোনালি মুরগির দাম কিছুটা বাড়লেও ব্রয়লার মুরগি আগের মতো ১৭০-১৮০ টাকা কেজিতে বিক্রি হচ্ছে। বাজারে ট্যাংরা, চিংড়ি ৮০০-১২০০ টাকা, ১ কেজি ওজনের ইলিশ বিক্রি হচ্ছে ২২০০-২৪০০ টাকায়। আকারভেদে রুই ও কাতলের কেজি ৩০০-৪৫০ টাকা, পাবদা ৪০০-৫০০, তেলাপিয়া ও পাঙাশ ২২০-২৫০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে।