ভারতের সঙ্গে বৈরিতা করে বিএনপি দেশের ক্ষতি করেছে: কাদের
নিউজ দর্পণ, ঢাকা: ভারতের সঙ্গে বৈরী সম্পর্ক সৃষ্টি করে বিএনপি এদেশের ক্ষতি করছে দাবি করে আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের বলেছেন, আওয়ামী লীগ বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্ক চায়।
বৃহস্পতিবার (২০ জুন) রাজধানীর বঙ্গবন্ধু অ্যাভিনিউয়ে দলের কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে আওয়ামী লীগের নেতৃবৃন্দের সঙ্গে ঢাকা মহানগর উত্তর-দক্ষিণ, ঢাকা জেলা আওয়ামী লীগ ও সকল সহযোগী সংগঠনের সভাপতি-সাধারণ সম্পাদক এবং ঢাকা উত্তর-দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের মেয়রদ্বয়ের যৌথসভায় তিনি এ কথা বলেন।
আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের বলেন, ভারতের সঙ্গে বৈরী সম্পর্ক করে বিএনপি বাংলাদেশের ক্ষতি করেছে। আমরা বৈরিতা চাই না। বন্ধুত্বপূর্ণ, ভারসাম্যমূলক ও সম্মানজনক পারস্পরিক কূটনীতি চাই। সম্পর্ক ভালো রাখতে চাই। সম্পর্ক বন্ধুত্বপূর্ণ হলে আলোচনার টেবিলে সমস্যার সম্মানজনক সমাধান সম্ভব। ভারতের সঙ্গে কম্প্রিহেনসিভ পার্টনারশিপ করছি বাংলাদেশের জাতীয় স্বার্থেই। জাতীয় স্বার্থ বিকিয়ে দিয়ে কারও সঙ্গে সম্পর্ক করবো না।
তিনি বলেন, জিয়াউর রহমান, এরশাদ ও খালেদা জিয়ার আমলে ভারতের সঙ্গে সম্পর্ক বৈরী ছিল। তারা পারস্পরিক সম্পর্কে সংশয় ও অবিশ্বাসের দেওয়াল সৃষ্টি করেছিলেন। খালেদা জিয়া ভারতের সঙ্গে বৈরিতা করে বাংলাদেশের সবচেয়ে বেশি ক্ষতি করেছেন।
কাদেরের দাবি, ভারত পার্লামেন্টে সর্বসম্মতভাবে সীমান্ত সমস্যা সমাধানের সিদ্ধান্ত নিয়েছে। ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী উদ্যোগ নিয়েছেন।
আরও পড়ুনসিলেটের বন্যা পরিস্থিতি নিয়ে ওবায়দুল কাদের বলেন, সিলেট অঞ্চলে বন্যা পরিস্থিতি দেখা দিয়েছে। বহু মানুষ পানিবন্দি অবস্থায় আছেন। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা নিয়মিত বন্যা পরিস্থিতির খোঁজ নিচ্ছেন। দলের নেতাকর্মীদের উদ্ধার ও ত্রাণ কার্যক্রমে অংশ নেওয়ার আহ্বান জানিয়েছেন। দুর্যোগ প্রতিমন্ত্রী বন্যাকবলিত এলাকা পরিদর্শন করছেন। ত্রাণ কার্যক্রম পরিচালনা করছেন।
সভা থেকে আওয়ামী লীগের প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উপলক্ষে ১০ দফা কর্মসূচি ঘোষণা করেন দলটির সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের। এর মধ্যে রয়েছে আগামীকাল শুক্রবার বিকেল ৩টায় ইঞ্জিনিয়ার্স ইনস্টিটিউশন থেকে ধানমন্ডি ৩২ নম্বর পর্যন্ত শোভাযাত্রা, ২৩ জুন সকাল ৭টায় ধানমন্ডি ৩২ নম্বরে বঙ্গবন্ধুর প্রতিকৃতিতে পুষ্পস্তবক অর্পণ, সকাল সাড়ে ১০টায় গোপালগঞ্জের টুঙ্গিপাড়ায় বঙ্গবন্ধুর প্রতিকৃতিতে পুষ্পস্তবক অর্পণ ও বেলা আড়াইটায় সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে সমাবেশ, ২২ জুন রবীন্দ্রসরোবর ও ২৪ জুন হাতিরঝিলে সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান।
এছাড়া প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উপলক্ষে ব্যানার, পোস্টার, ক্রোড়পত্র ও ভিডিও প্রকাশ করা হবে। সারাদেশে সবুজ ধরিত্রী নামে বৃক্ষরোপণ কর্মসূচিও হাতে নেওয়া হয়েছে।