প্রধান সংবাদরাজধানী

রাজধানীর বিভিন্ন এলাকায় পানির সংকট

নিউজ দর্পণ, ঢাকা: বিদ্যুতের লোডশেডিং ও দাবদাহের কারণে রাজধানীর বিভিন্ন এলাকায় পানির সংকট দেখা দিয়েছে। তীব্র গরমে পানি না পেয়ে দুর্বিষহ অবস্থায় পড়েছেন তারা। বিকল্প পানির গাড়ি চেয়ে পানি পেতেও নাকাল হতে হচ্ছে ভুক্তভোগীদের। সূত্র মতে ঢাকা ওয়াসার পানি সরবরাহ এলাকার প্রায় সব স্থানে পানির সংকট চলছে।

ঢাকা ওয়াসার অঞ্চল-২ এর নবাবগঞ্জ, ঢুরি আঙুলি লেন, জাফরাবাদ ও কাটাসুর, অঞ্চল-৪ এর বড়বাগ, মণিপুর, আগারগাঁও ও মিরপুর-১২, জোন-৫ এর গুলশান-১, গুলশান-২ এর ৮৩ নম্বর সড়ক এবং মালিবাগ বাজার রোডের গ্রাহকরা চাহিদা অনুযায়ী পানি পাচ্ছেন না। অঞ্চল-৬ এর বনশ্রীর এফ ব্লক ও নন্দীপাড়া, অঞ্চল-৭ এর রসুলপুর, পাগলা, শাহী মহল্লা, নুরবাগ, আদর্শনগর, নামা শ্যামপুর, নিশ্চিন্তপুর, দেলপাড়া, শান্তিধারা ও দৌলতপুর এবং অঞ্চল-১০ এর ইব্রাহিমপুর, পূর্ব শেওড়াপাড়া, মিরপুর-১১ এর মদিনানগর, বাইগারটেক, মাটিকাটা এবং উত্তরা ১৫, ১৬, ১৭ নম্বর সেক্টরে পানির সংকটে নাকাল বাসিন্দারা।

ঢাকা ওয়াসা সংশ্লিষ্টরা জানায়, ঢাকা ওয়াসা রাজধানীর প্রায় ২ কোটি ২০ লাখ মানুষের চাহিদা পূরণ করে আসছে। এজন্য ঢাকা ওয়াসা ৯৬০টি গভীর নলকূপ থেকে পানি উত্তোলন করছে। পাশাপাশি চাঁদনীঘাট, সায়েদাবাদ, পদ্মা, সাভারের ভাকুর্তা-তেঁতুলঝোড়া ও মেঘনা পানি শোধনাগার থেকে পানি সরবরাহ করছে।

সংশ্লিষ্টরা জানান, ঢাকা ওয়াসার হিসাব অনুযায়ী দৈনিক ২২০ থেকে ২৩০ কোটি লিটার পানি সরবরাহ করছে। অথচ উৎপাদন সক্ষমতা রয়েছে ২৮০ থেকে ২৯০ কোটি লিটার পর্যন্ত। গ্রীষ্মকালে পানির চাহিদা ৩০০ কোটি লিটারের বেশি চলে যায়। এজন্য ঢাকা ওয়াসার সব চেষ্টা ব্যর্থ হয়ে যায়। যদিও ঢাকা ওয়াসা তা স্বীকার করতে নারাজ।

ঢাকা ওয়াসার এক প্রকৌশলী জানান, ঢাকা ওয়াসা পানির চাহিদা হিসাব করেন একজন মানুষ দিনে একবার গোসলে কতটুকু পানি ব্যবহার করেন। পাশাপাশি খাবার, রান্না, কাপড় ধোয়া এবং অন্যান্য নিত্যপ্রয়োজনীয় কাজে কতটুকু ব্যবহার করেন সে হিসাব ধরে চাহিদা নির্ধারণ করে। বাস্তবতা হলো-গ্রীষ্মের সময় পানির ব্যবহার অনেকটা বেড়ে যায়। মানুষ বেশি পরিমাণ পানি পান করেন এবং ২ থেকে তিনবার গোসল করেন। এই হিসাবগুলো ঢাকা ওয়াসা করতে নারাজ। কেননা এটা করলে তখন সফলতার গল্প ফিকে হয়ে যায়।

এ প্রসঙ্গে জানতে চাইলে ঢাকা ওয়াসার উপ-ব্যবস্থাপনা পরিচালক এ কে এম সহিদ উদ্দিন বলেন, দাবদাহের কারণ মানুষের পানির ব্যবহার বেড়েছে। পাশাপাশি কিছু এলাকায় পানি সরবরাহে কিছু জটিলতা দেখা দিয়েছে। সেসব জায়গায় বিকল্প ব্যবস্থায় পানি সরবরাহ অব্যাহত রাখা হয়েছে। বড় দাগে নগরীর কোথাও তেমন সমস্যা নেই। সেসব এলাকায় সমস্যা দেখা দিচ্ছে তড়িত গতিতে তা সমাধান করা হচ্ছে।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *