রাজধানীতে মাকে কুপিয়ে মেরে ফেলল মাদকাসক্ত ছেলে

নিউজ দর্পণ, ঢাকা: রাজধানীর কামরাঙ্গীর চরের বড়গ্রাম এলাকায় মাকে কুপিয়ে হত্যা করেছে মাদকাসক্ত ছেলে। প্রথমে ছুরি দিয়ে ও পরে বটি দিয়ে কুপিয়ে মায়ের নাড়িভুঁড়ি বের করে ফেলেছে ঘাতক ছেলে। পুলিশ ঘাতক ছেলেকে আটক করে জেলহাজতে পাঠিয়েছে।

আজ বুধবার দুপুরে ময়নাতদন্ত শেষে মায়ের লাশ দাফন করা হয়েছে। এ ঘটনায় ঘাতক ছেলে জুয়েল বুধবার হত্যাকাণ্ডের কথা স্বীকার করে আদলতে ১৬৪ ধারায় জবানবন্দি দিয়েছে বলে জানা গেছে। এর আগে মঙ্গলবার রাত ৯টার দিকে এ হত্যাকাণ্ডের ঘটনা ঘটে।

কামরাঙ্গীর চর থানার ওসি মোস্তাফিজুর রহমান যুগান্তরকে জানান, কামরাঙ্গীর চরে ডিএসসিসি ৫৬ নম্বর ওয়ার্ডের বড়গ্রাম রানা হাজীর গলির শরীফের বাড়ির ভাড়াটিয়া চা বিক্রেতা আবদুল বারেকের ছেলে জুয়েল (২২) মঙ্গলবার রাত ৯টার দিকে পূর্ব পরিকল্পনা অনুযায়ী মা ইয়াসমিনকে (৪৫) ছুরিকাঘাতে হত্যা করে। হত্যার সময় কোপানোর একপর্যায়ে ছুরি ভেঙে গেলে ঘরে থাকা বটি দিয়ে এলোপাতাড়ি কুপিয়ে নাড়িভুঁড়ি বের করে ফেললে ঘটনাস্থলেই মায়ের মৃত্যু হয়। এ সময় আশপাশের লোকজন খুনি জুয়েলকে ধরে পুলিশকে খবর দিলে তাকে আটক করা হয়।

ওসি বলেন, গত এক সপ্তাহ থেকে পরিকল্পনা করে চকবাজার থেকে ছুরি কিনে এনে হত্যাকাণ্ড ঘটায় বলে পুলিশের জিজ্ঞাসাবাদে স্বীকার করেছে খুনি জুয়েল। সে দীর্ঘদিন থেকে বিভিন্ন প্রকার মাদক সেবন করত এবং চুরি-ছিনতাই করতে। এক সপ্তাহ আগেও সে মাদক মামলায় কারাগার থেকে জামিন নিয়ে বের হয়েছে।

ওই বাড়ির একাধিক ভাড়াটিয়া  বলেন, জুয়েলের মা ইয়াসমিন বাসাবাড়িতে কাজ করতেন এবং বাবা চা বিক্রি করে কোনোমতে ৪ ভাই-বোনের সংসার চালাতেন। দুই ভাই ও দুই বোনের মধ্যে জুয়েল তৃতীয়। জুয়েল দীর্ঘদিন নেশার টাকার জন্য পরিবারকে চাপ দিত। একপর্যায়ে পরিবারের লোকজন বিরক্ত হয়ে তাকে বাসা থেকে বের করে দেয়। এরপর থেকে জুয়েল মাকে মেরে ফেলবে বলে হুমকি দিতে থাকে। গত কয়েক মাস আগেও সে মায়ের ওপর একবার হামলা চালায়। ওই সময় লোকজন উপস্থিত থাকায় সফল হয়নি। পরিবারটি দীর্ঘদিন থেকে ওই এলাকায় বসবাস করে আসছে। তাদের গ্রামের কোনো ঠিকানা নেই বলে জানান তারা।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *