বিমান পরিবহন খাতে ৪ লাখ কর্মী চাকরি হারানোর পথে

নিউজ দর্পণ ডেস্ক: ব্যবসার প্রায় সব খাতই করোনা ভাইরাসের কারণে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। তবে এভিয়েশন বা বিমান পরিবহন খাতের ক্ষতিটা একটু বেশিই হয়েছে। কোম্পানিগুলোর ওপর আয় সংকোচনের প্রভাব তো পড়েছেই, কর্মীরাও এর আঁচ থেকে বাঁচতে পারছেন না। আয় নেই, তাই ব্যয়সংকোচনের পথে হাঁটতে হচ্ছে আকাশসেবা সংস্থাগুলো। আর এর কোপ গিয়ে পড়ছে কর্মসংস্থানে।

ব্লুমবার্গের একটি পরিসংখ্যান বলছে, বিশ্বজুড়ে এ পর্যন্ত আকাশসেবা খাতে প্রায় চার লাখ কর্মীকে হয় ছাঁটাই করা হয়েছে বা সাময়িক ছুটিতে পাঠানো হয়েছে। যারা এখনো আছেন, যেকোনো সময় তাদের ছাঁটাই করা হতে পারে বলে নোটিস দেয়া হয়েছে।

মহামারি প্রতিরোধে যাত্রী চলাচলে বিধিনিষেধ আরোপ করেছে বিশ্বের প্রায় সব দেশ। ভ্রমণ চাহিদা কমায় এয়ারলাইনসগুলো একের পর এক ফ্লাইট বাতিল করেছে। বিশেষ করে আন্তর্জাতিক ফ্লাইট পরিচালনা প্রায় স্থবির হয়ে পড়েছে। টিকিট বিক্রিতে ধস নামায় আকাশসেবা সংস্থাগুলোর আয়ও থমকে গেছে। এ অবস্থায় বাধ্য হয়েই ব্যয়সংকোচনের পথ বেছে নিয়েছে তারা।

ব্রিটিশ এয়ারওয়েজ, লুফথানসা, এমিরেটস, কান্তাস—বিশ্বের বড় প্রায় সব এয়ারলাইনসই হাজার হাজার কর্মী হয় ছাঁটাই করেছে অথবা অবৈতনিক ছুটিতে পাঠিয়েছে। যুক্তরাষ্ট্রে এ খাতে আরো উল্লেখযোগ্যসংখ্যক কর্মী সামনের মাসগুলোয় চাকরি হারাতে পারেন বলে ধারণা করা হচ্ছে।

কারণ যুক্তরাষ্ট্রে কোনো কর্মী ছাঁটাই না করার শর্তে কোম্পানিগুলোকে ৫ হাজার কোটি ডলারের সহায়তা দিয়েছে সরকার। তবে এ শর্তের মেয়াদ সেপ্টেম্বরে শেষ হয়ে যাচ্ছে। এরপর কোম্পানিগুলো চাইলে কর্মী ছাঁটাই করতে পারবে।

ডেল্টা এয়ারলাইনস, ইউনাইটেড এয়ারলাইনস হোল্ডিংস ও আমেরিকান এয়ারলাইনস গ্রুপ এরই মধ্যে তাদের প্রায় ৩৫ হাজার কর্মীকে জানিয়ে দিয়েছে যে তাদের চাকরি ঝুঁকির মুখে রয়েছে। চলতি বছর শেষে এ তিন কোম্পানির মিলিতভাবে কর্মী ছাঁটাইয়ের সংখ্যা এক লাখে গিয়ে ঠেকতে পারে।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *