স্বাস্থ্যখাতের সীমাহীন দুর্নীতির বহি:প্রকাশ রিজেন্ট হাসপাতাল : ডাঃ ইরান

নিজস্ব প্রতিবেদক: করোনা পরিক্ষার ভুয়া সনদ বিক্রি করে মানুষের জীবন নিয়ে ছিনিমিনি খেলায় জড়িত রিজেন্ট হাসপাতালের চেয়ারম্যান প্রতারক সাহেদ করীমসহ সংশ্লিষ্ট সকলকে দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবি জানিয়ে বাংলাদেশ লেবার পার্টির চেয়ারম্যান ডাঃ মোস্তাফিজুর রহমান ইরান।

তিনি বলেন, দেশের স্বাস্থ্য খাতের সীমাহীন দুর্নীতির সর্বশেষ বহি:প্রকাশ রিজেন্ট হাসপাতালে করোনা পরিক্ষা জালিয়াতি। সরকার ৬ বছর ধরে অনুমোদনহীন রিজেন্ট হাসপাতালকে করোনা পরিক্ষার অনুমোদন দিয়ে দুর্নীতি ও প্রতারণাকে উৎসাহিত করছে। সীমাহীন দুর্নীতি ও লুটপাটের কারনে দেশের স্বাস্থ্যখাত ভেঙ্গে পড়েছে। দেশের সাধারন মানুষের চিকিৎসার আগে প্রয়োজন স্বাস্থ্যখাতের সুচিকিৎসা নিশ্চিত করা।

আজ শনিবার দুপুরে নয়াপল্টন কার্যালয়ে বাংলাদেশ লেবার পার্টি আয়োজিত স্বাস্থ্যখাতের দুর্নীতি বন্ধের দাবীতে সংবাদ সম্মেলনে একথা বলেন।

সরকার করোনার নমুনা পরিক্ষা নিয়ন্ত্রন করছে মন্তব্য করে তিনি আরো বলেন, করোনার উচ্চ সংক্রমনের সময় করোনা পরীক্ষা হঠাৎ কমে যাওয়ায় দেশবাসী উৎকন্ঠিত। কয়েকদিন আগেও যেখানে ১৫-১৬ হাজার জনের নমুনা পরীক্ষা করা হচ্ছিল। এখন তা ১১-১২ হাজারে নেমে এসেছে, প্রায় ৪-৫ হাজার কমে গেছে। অর্থাৎ সরকার দেশে করোনার সংক্রমণ কম এটি জনগণকে দেখানোর জন্য করোনার পরীক্ষা নিয়ন্ত্রণ করছে। সরকারের অদুরদর্শীতা, সেচ্ছাচারীতা, অযোগ্যতা, নগ্নদলীয়করন, আত্মীয়করন ও সিন্ডিকেট চক্রের সীমাহীন দুর্নীতির কারণে দেশের স্বাস্থ্যখাত ভেঙ্গে পড়েছে।

তিনি বলেন, সাধারন মানুষ করোনাসহ কোনো রোগেরই চিকিৎসা পাচ্ছে না। করোনার পরিক্ষা ছাড়াই দেয়া হচ্ছে করোনার রিপোর্ট। বিনা চিকিৎসায় পথে ঘাটে মারা যাচ্ছে মানুষ। এখনো সরকারি হাসপাতালে চিকিৎসায় ১০০ টাকার মধ্যে ব্যক্তির পকেট থেকে ব্যায় হয় ৬৬ টাকা। আর বেসরকারি হাসপাতালে চিকিৎসা করাতে গেলে বাড়ী-ঘর, সহায় সম্পত্তি বিক্রি করতে হচ্ছে। ওষধের লাগামহীন ঊর্ধ্বগতিতে সাধারন মানুষ দিশেহারা হয়ে পড়েছে। আমরা সরকারী হাসপাতালে করোনা পরিক্ষায় ২০০ টাকা ফি নির্ধারনের তীব্র নিন্দা ও প্রত্যাহারের দাবী জানাই।

সংবাদ সম্মেলনে উপস্থিত ছিলেন বাংলাদেশ লেবার পার্টির সিনিয়র ভাইস চেয়ারম্যান ইঞ্জিনিয়ার ফরিদ উদ্দিন, মোসলেম উদ্দিন, ঢাকা উত্তর লেবার পার্টির সভাপতি এস এম ইউসুফ আলী, ঢাকা দক্ষিন লেবার পার্টির সভাপতি মাওলানা আনোয়ার হোসেন ও মহানগর সাধারণ সম্পাদক মোঃ আরিফ সরকার, কেন্দ্রীয় সাংগঠনিক সম্পাদক আবদুর রহমান খোকন, ও বাংলাদেশ ছাত্রমিশন সাধারন সম্পাদক মোঃ শরিফুল ইসলাম প্রমুখ।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *