‘বন্দুকযুদ্ধে’ টেকনাফে দুই রোহিঙ্গা, চট্টগ্রাম ও কুষ্টিয়ায় নিহত ২
নিউজ দর্পণ,কক্সবাজারa: কক্সবাজারের টেকনাফ, চট্টগ্রামের বাঁশখালী এবং কুষ্টিয়ার দৌলতপুরে বিজিবি ও পুলিশের সঙ্গে ‘বন্দুকযুদ্ধে’ দুই রোহিঙ্গাসহ চারজন নিহত হয়েছে। গতকাল শুক্রবার (২৪ জুলাই) দিবাগত রাতে এসব বন্দুকযুদ্ধের ঘটনা ঘটে।
বিজিবি জানিয়েছে, টেকনাফে বিজিবির সঙ্গে ‘বন্দুকযুদ্ধে’ দুই রোহিঙ্গা ইয়াবা কারবারি নিহত হয়েছে। শুক্রবার দিবাগত সাড়ে ৩টার দিকে উপজেলার হ্নীলা ইউনিয়নের মোচনীস্থ ছ্যুরিখাল এলাকায় এ ঘটনা ঘটে। এ সময় ঘটনাস্থল থেকে দুই লাখ ১০ হাজার পিস ইয়াবা, একটি দেশীয় তৈরি এলজি বন্দুক, এক রাউন্ড তাজা কার্তুজ, একটি ধারালো কিরিচ উদ্ধার করা হয়েছে। বিজিবি। এসময় বিবিজির তিন সদস্যও আহত হয়েছেন বলে জানানো হয়েছে।
নিহত দুই রোহিঙ্গা হলেন- উখিয়া উপজেলার বালুখালী ১নং রোহিঙ্গা ক্যাম্প এইচ/৩৯ ব্লকের বাসিন্দা হাবিব উল্লাহর ছেলে মো. ফেরদৌস (৩০) ও একই ক্যাম্পের এইচ/২০ ব্লকের মৃত সৈয়দ আহমদের ছেলে আব্দুস সালাম (৩৫)। এ ব্যাপারে টেকনাফ থানায় সংশ্লিষ্ট আইনে মামলা করেছে বিজিবি। জব্দকৃত ইয়াবা ও অস্ত্র টেকনাফ সদর ব্যাটালিয়নে জমা রাখা হয়েছে।
র্যাব-৭ সূত্র জানিয়েছে, শুক্রবার রাতে সরল ব্রিজের কাছে একদল দস্যু ডাকাতির জন্য সাগরে যাওয়ার প্রস্তুতি নিচ্ছিল- এমন খবর পেয়ে র্যাবের টহল দল ওই পথে যাওয়ার সময় জলদস্যুরা তাদেরকে লক্ষ্য করে গুলি ছোঁড়ে। আত্মরক্ষার্থে র্যাব সদস্যরাও পাল্টা গুলি ছুঁড়লে এক পর্যায়ে দস্যুরা পালিয়ে গেলে সেখান থেকে গুলিবিদ্ধ একটি মরদেহ উদ্ধার করা হয়।
নিহত ব্যক্তির শের আলী (৩০) বাঁশখালী উপজেলার সরল ইউনিয়নের সরল এলাকার বাসিন্দা। তার বিরুদ্ধে হত্যা ও ডাকাতিসহ বিভিন্ন অভিযোগে অন্তত ১২টি মামলা আছে বলে জানিয়েছে র্যাব। ঘটনাস্থল থেকে তিনটি বন্দুক, ১৩টি গুলি ও চারটি গুলির খোসা উদ্ধার করা হয় বলে র্যাবের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে।
অপরদিকে কুষ্টিয়ার দৌলতপুরে পুলিশের সঙ্গে ‘বন্দুকযুদ্ধে’ কুদরত আলী মন্ডল (৫০) নামে এক মাদক ব্যবসায়ী নিহত হয়েছেন। শুক্রবার দিবাগত রাত ১টার দিকে উপজেলার ডাংমড়কা সেন্টারমোড় এলাকায় আবুল কালাম আজাদের ইটভাটার কাছে এ বন্দুকযুদ্ধের ঘটনা ঘটে। ঘটনাস্থল থেকে একটি বিদেশি পিস্তুল, তিন রাউন্ড গুলি, একটি ম্যাগজিন, একটি দেশীয় অস্ত্র (হাসুয়া) ও ৪৩ বোতল ফেনসিডিল উদ্ধার করেছে পুলিশ।
নিহত কুদরত আলী মন্ডল উপজেলার রামকৃষ্ণপুর ইউনিয়নের সীমান্ত সংলগ্ন মুন্সিগঞ্জ গ্রামের মৃত নিয়ামত আলী মন্ডলের ছেলে। তার বিরুদ্ধে মাদক ও অস্ত্র আইনে অন্তত ছয়টি মামলা রয়েছে।
দৌলতপুর থানা পুলিশ জানায়, মাদক কেনাবেচার গোপন সংবাদ পেয়ে দৌলতপুর থানা পুলিশ ডাংমড়কা সেন্টারমোড় এলাকার আবুল কালাম আজাদের ইটভাটায় অভিযান চালায়। পুলিশের উপস্থিতি টের পেয়ে মাদক ব্যবসায়ীরা পুলিশকে লক্ষ্য করে গুলি ছোঁড়ে। পুলিশ পাল্টা গুলি চালালে মাদক ব্যবসায়ীরা পালিয়ে যায়।
পরে ঘটনাস্থল থেকে গুলিবিদ্ধ অবস্থায় একজনকে উদ্ধার করে দৌলতপুর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নেয়া হলে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন। পরে তার নাম-পরিচয় জানা যায়। এ ঘটনায় পুলিশের এক এএসআইসহ তিন পুলিশ আহত হয়েছেন বলে জানানো হয়েছে।