চারমাস পর স্টেডিয়ামে মুশফিকুর রহিমসহ তিন জন

নিউজ দর্পণ, ঢাকা: মিরপুরের নিস্তব্ধতা ভেঙে মাঠে ফিরলেন ক্রিকেটাররা। ব্যক্তিগত অনুশীলন দিয়ে মাঠে ফিরলেন বাংলাদেশের তিন ক্রিকেটার মুশফিকুর রহিম, মোহাম্মদ মিঠুন ও শফিউল ইসলাম। হয়তো আগের মতো ক্রিকেটার-গণমাধ্যম কর্মীদের পদচারণায় মুখর হয়ে ওঠেনি হোম অব ক্রিকেটের প্রাঙ্গন। তবুও নিস্তব্ধতা যেভাবে গিলে খাচ্ছিল মিরপুরকে, সেটা তো ভাঙলো।

রবিবার মিরপুর শেরেবাংলা স্টেডিয়ামে ক্রিকেটার ছিলেন তিনজন। তবুও দীর্ঘ চার মাস পর ক্রিকেটারদের মাঠে ফেরায় সেখানে একটু চেনা দৃশ্য ফিরে এসেছে। গত ১৬ মার্চের পর ক্রিকেটীয় কর্মকাণ্ড দেখা গেল। ব্যক্তিগত অনুশীলন দিয়ে মাঠে ফিরলেন বাংলাদেশের তিন ক্রিকেটার মুশফিকুর রহিম, মোহাম্মদ মিঠুন ও শফিউল ইসলাম।

মিরপুরে তিন ক্রিকেটার অনুশীলন করেছেন। সিলেটে খালেদ আহমেদ, নাসুম আহমেদ ও খুলনায় মেহেদী হাসান, নুরুল হাসান অনুশীলন করেছেন। চট্টগ্রামে নাঈম হাসানের অনুশীলন করার কথা থাকলেও বৃষ্টির কারণে পারেননি।

ঐচ্ছিক দিনগুলোতে যে মুশফিক কঠোর পরিশ্রম করেন সেই তিনি ঘরবন্দি জীবনটা কীভাবে কাটিয়েছেন, তাকে দেখেই বোঝা যাচ্ছিল। তার অনুশীলন শুরুর সময় ছিল সকাল ১০টা। কিন্তু অনুশীলনে সবসময়ই মনোযোগী মুশফিক সকাল আটটার মধ্যেই মিরপুরে এসে হাজির! সাড়ে আটটা থেকে ৯টা পর্যন্ত একাডেমি মাঠে রানিং করেন। এরপর ঘণ্টা খানেকের বিরতি দিয়ে ১০ থেকে ১১টা পর্যন্ত ইনডোরে ব্যাটিং করেন দেশের ইতিহাসের সেরা উইকেটকিপার-ব্যাটসম্যান।

মুশফিকের আগেই ব্যাটিং অনুশীলন সেরে নেন মোহাম্মদ মিঠুন। ৯ টা থেকে ১০টা পর্যন্ত ইনডোরের নেটে ব্যাটিং করেন ডানহাতি ব্যাটসম্যান। এরপর একাডেমি মাঠে এসে ৩০ মিনিটের মতো রানিং করেন। দীর্ঘদিন পর মাঠে ফিরে স্বস্তির নিঃশ্বাস ফেলছেন তিনি।
মোহাম্মদ মিঠুন

ব্যাটিং-রানিংয়ের পর মিঠুন বলেন, ‘আমরা দীর্ঘ চার মাস পর মাঠে অনুশীলন করার সুযোগ পেয়েছি। মাঠে ফিরে ভালো লাগছে। ব্যাটিং, রানিং, সবকিছুই একটু কঠিন মনে হচ্ছে। কারণ এতদিন আমরা সবকিছুই বাসায়, ইনডোরে করেছি। মাঠে মানিয়ে নিতে একটু সময় লাগবে। আশা করছি কয়েকদিনের মধ্যে সবকিছু আগের মতোই ফিরে পাবো।’

পেসার শফিউল ইসলাম মাঠে এসে পড়েন সকাল ১১টার দিকে। ১১টা ১৫ থেকে একাডেমি মাঠে রানিং শুরু করেন। ৩০ মিনিটের মতো রানিং করেই প্রথম দিনের অনুশীলন শেষ করে দেন। লকডাউনে বাসার সিঁড়িতেই দৌড়েছেন শফিউল। কিন্তু হাঁটু ব্যথা হয়ে যেতো বলে জানান তিনি।
শফিউল ইসলাম

শফিউল বলেন, ‘করোনা পরিস্থিতির কারণে বাইরে দৌড়ানোর সুযোগ ছিল না। কিন্তু ফিটনেস নিয়ে তো কাজ না করলেও নয়। তাই বাসার সিঁড়িতে কিছুদিন দৌড়েছি। কিন্তু সমস্যা হচ্ছে, সিড়িতে দৌড়ালে হাঁটু ব্যথা হয়ে যেত। ভালোভাবে আজই প্রথম রানিং করলাম।’

সংখ্যায় কম হলেও চার মাস পরে মাঠে ফিরে মিরপুরের নিস্তব্ধতা ঘোচালেন তারা। হয়তো একটু একটু করে অচিরেই মিরপুর আগের মতো সরগরম হয়ে উঠবে। ক্রিকেটভক্তরা করোনা-ভীতি ভুলে গ্যালারি মাতাবেন। আপাতত সেই অপেক্ষাতেই আছেন সব ক্রিকেটামোদী।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *