বিএনপি নেতা আউয়াল খানের দাফন সম্পন্ন
নিউজ দর্পণ, কুমিল্লা: বিএনপির সহ-সাংগঠনিক সম্পাদক আবদুল আউয়াল খানের মরদেহ কুমিল্লার দেবিদ্বারে তার নিজ গ্রাম কাশারী খোলার পারিবারিক কবরস্থানে দাফন করা হয়েছে। স্বাস্থ্য বিধি মেনে জেলা যুবদলের নেতাকর্মীরা তার দাফন কাজ সম্পন্ন করেন।
বিকাল পৌনে ৫ টায় তরুণ এই নেতার লাশবাহী অ্যাম্বুলেন্সকে হাসপাতাল থেকে বিদায় জানান বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান মো. শাজাহান ও নির্বাহী কমিটির সদস্য সালাউদ্দিন শিশির, রবি খানসহ স্থানীয় নেতারা। এরআগে কাশারী খোলা সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় প্রাঙ্গণে আবদুল আউয়াল খানের জানাযা অনুষ্ঠিত হয়। এতে দলীয় নেতাকর্মী ও স্থানীয়রা অংশ নেন।
করোনা ভাইরাসের কাছে হার মেনে আজ সোমবার দুপুর সোয়া ২টায় মহাখালীতে শেখ রাসেল গ্যাস্ট্রোলিভার ইনস্টিটিউট ও হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা যান ঢাকা কলেজের সাবেক জিএস আউয়াল খান। ৫৪ বছর বয়সী আউয়াল খান রাজনৈতিক জীবনে ছাত্রদল, যুবদল ও মৎস্যজীবী দলের গুরুত্বপূর্ণ পদে সুনামের সাথে দায়িত্ব পালন করেন। সাবেক কেন্দ্রীয় নেতা আবদুল আউয়াল খান এক ছেলে এক মেয়ে ও স্ত্রী রেখে গেছেন। তারা ৬ ভাই ও ২ বোন। পরিবারের সদস্যরা আউয়াল খানকে শেষ বিদায় দিতে গেলে সেখানে এক হৃদয় বিদারক দৃশ্যের অবতরণ হয়। তার মৃত্যুতে বিএনপির মধ্যে শোকের ছায়া নেমে এসেছে। খবর পেয়ে হাসপাতালে ছুটে যান বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান মো. শাজাহান।
এদিকে, আবদুল আউয়াল খানের মৃত্যুতে শোক প্রকাশ করেছেন বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান, মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর, স্থায়ী কমিটির সদস্য মির্জা আব্বাস, গয়েশ্বর চন্দ্র রায়, ভাইস চেয়ারম্যান বরকত উল্লাহ বুলু, মো. শাজাহান, আব্দুল আউয়াল মিন্টু, শামসুজ্জামান দুদু, যুগ্ম মহাসচিব সৈয়দ মোয়াজ্জেম হোসেন আলাল, সহ সাংগঠনিক সম্পাদক আকন কুদ্দুসুর রহমান, সহ দপ্তর সম্পাদক তাইফুল ইসলাম টিপু, বেলাল আহমেদ, বিএনপি নেতা তাবিথ আউয়াল, ইশরাক হোসেন, জাসাস’র সভাপতি অধ্যাপক ড. মামুন আহমেদ ও সাধারণ সম্পাদক চিত্রনায়ক হেলাল খান প্রমুখ।
আউয়াল খানের ছোট ভাই নবীন খান বলেন,‘ভাইয়ের (আবদুল আউয়াল খান) গত মঙ্গলবার সন্ধ্যায় শ্বাসকষ্ট থাকায় মুগদা জেনারেল হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছিল। সেখানে তার নমুনা পরীক্ষায় করোনা পজেটিভ শনাক্ত হয়। তার শ্বাসকষ্ট বেড়ে গেলে মুগদাতে আইসিইউ বেড না পাওয়ায় শেখ রাসেল গ্যাস্ট্রোলিভার ইনস্টিটিউট ও হাসপাতালে স্থানান্তর করা হয়। মৃত্যুর আগ পর্যন্ত সেখান তিনি আইসিইউতেই ছিলেন।
আবদুল নবিন খান আরো জানান,‘মুগদা জেনারেল হাসপাতালে ভর্তির আগে ৪-৫ দিন চিকিৎসকের পরামর্শ নিয়ে বাসাতেই আইসোলেশনে ছিলেন আবদুল আউয়াল খান।