ঈদে করোনা সংক্রমণের ঝুঁকি এড়াতে সবাইকে কাজ করতে হবে: ওবায়দুল কাদের
নিউজ দর্পণ, ঢাকা: পবিত্র ঈদুল আযহাকে কেন্দ্র করে করোনা সংক্রমণ ছাড়ানোর ঝুঁকি এড়াতে এবং জনগণকে সুরক্ষা দিতে দায়িত্বশীল সবাইকে একযোগে কাজ করার আহ্বান জানিয়েছেন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক এবং সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের। তিনি বলেন, আইন প্রয়োগকারী সংস্থা, মালিক-শ্রমিক প্রতিনিধি, টার্মিনাল প্রতিনিধি, বিআরটিএ, সিটি করপোরেশনসহ সব অংশীজনদের নিয়ে যাত্রীদের স্বাস্থ্যবিধি প্রতিপালনে কার্যকর ভূমিকা পালন করতে হবে।’
আজ সোমবার রাজধানীর বনানীতে বাংলাদেশ রোড ট্রান্সপোর্ট অথরিটি (বিআরটিএ) এর প্রধান কার্যালয়ে ঈদুল আযহা উপলক্ষে সড়ক-মহাসড়কে যাত্রী সাধারণের যাতায়াত নিরাপদ ও নির্বিঘ্ন করতে করণীয় নির্ধারণ সংক্রান্ত সভায় নিজ বাসভবন থেকে ভিডিও কনফারেন্সে যুক্ত হয়ে তিনি এই আহ্বান জানান।
ওবায়দুল কাদের বলেন, এটি ধর্মীয় উৎসব হওয়ায় সামাজিক ও ধর্মীয় বাস্তবতায় সিদ্ধান্ত নিতে হবে।’ বিআরটিএ, আইন প্রয়োগকারী সংস্থা ও পরিবহন-সংশ্লিষ্ট সবাইকে ঈদ যাত্রায় স্বাস্থ্যবিধি প্রতিপালনের মধ্য দিয়ে করোনা সংক্রমণ রোধে সতর্কতামূলক পদক্ষেপ নেওয়ার নির্দেশ দেন তিনি।
তিনি বলেন, ‘মহাসড়কে ফিটনেসবিহীন যানবাহনে কোরবানির পশু পরিবহন বন্ধ করতে হবে এবং তা উৎসমুখেই নিয়ন্ত্রণ করতে হবে। ঈদের তিন দিন আগে থেকে পণ্যবাহী ভারী যানবাহন চলাচল বন্ধ থাকবে। তবে জরুরি সার্ভিস ও অত্যাবশ্যকীয় পণ্য পরিবহন এ নিষেধাজ্ঞার আওতামুক্ত থাকবে। যাত্রাপথে জ্বালানি সংগ্রহ ও জরুরি প্রয়োজন ছাড়া গাড়ি থামানো যাবে না। সড়ক ও মহাসড়কের ওপর এবং পাশে কোনোভাবেই পশুরহাট বসানো যাবে না।’
বিআরটিএ’র মোবাইল কোর্ট সার্বক্ষণিক এসব মনিটর করবে উল্লেখ করে সড়ক পরিবহন মন্ত্রী বলেন, ‘প্রতিটি টিপ শেষে গাড়ির ভেতর ও বাহির জীবাণুমুক্ত করতে হবে।’ যেসব পরিবহন, মালিক-সমিতি ও সরকারের সিদ্ধান্তের বিরুদ্ধে যাবে এবং জনস্বার্থ পরিপন্থি কাজ করবে, তাদের বিষয়ে করণীয় নির্ধারণে সংশ্লিষ্টদের নির্দেশ দেন মন্ত্রী।
ঈদের আগে ও পরে সিএনজি স্টেশনসমূহ খোলা রাখতে জ্বালানি বিভাগকেও অনুরোধ জানান সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী।
সড়ক পরিবহন ও মহাসড়ক বিভাগের সচিব মো. নজরুল ইসলামের সভাপতিত্বে সভায় উপস্থিত ছিলেন সংসদ সদস্য মশিউর রহমান রাঙ্গা, বিআরটিএ’র চেয়ারম্যান নূর মোহাম্মদ মজুমদার, বিআরটিসির চেয়ারম্যান মো. এসছানে এলাহিসহ পরিবহন সংশ্লিষ্ট নেতৃবৃন্দ।