রাজনীতিলিড

খালেদা জিয়াকে মুক্তি না দিলে সরকারের পরিনতি হবে ভয়াবহ: মির্জা ফখরুল

রাফিক মৃধা, নিউজ দর্পণ: বিএনপির চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়াকে গণতন্ত্রের রক্ষাকবচ আখ্যা দিয়ে দলটির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেছেন, তাকে ছাড়া গণতন্ত্র কল্পনা করা যায় না। তাকে অন্যায়ভাবে ৬ বছর ধরে কারাগারে বন্দি অবস্থায় রাখা হয়েছে। তাকে মুক্ত না করলে সরকারের জন্য ভয়াবহ পরিণতি অপেক্ষা করছে।

তিনি নেতাকর্মীদের উদ্দেশ্যে বলেন, ভয়ে মরা নয়, সাহস করে লড়াই করুন। পরিবর্তন করতে হলে তরুণ-যুবকদের এগিয়ে আসতে হবে। আওয়ামী লীগ দখলদার সরকার। তারা দেশকে ও দেশের রাজনৈতিক কাঠামো ধ্বংস করেছে। দেশের গণতন্ত্র, স্বাধীনতাকে ধ্বংস করছে। কঠোর আন্দোলন গড়ে তুলতে হবে।

শনিবার (২৯ জুন) বিকেলে রাজধানীর নয়াপল্টনে এক সমাবেশে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।দলীয় চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়ার নিঃশর্ত মুক্তির দাবিতে বিএনপি আয়োজিত সমাবেশ অনুষ্ঠানিকভাবে বেলা পৌনে ৩টায় পবিত্র কোরআন তেলাওয়াতের মধ্য দিয়ে শুরু হয়। কেন্দ্রীয় কার্যালয়ের সামনে এই সমাবেশে বিপুল সংখ্যক নেতাকর্মী অংশ নেন। সমাবেশকে কেন্দ্র করে দুপুর ২ টার আগেই নয়াপল্টন এলাকা নেতাকর্মীদের পদচারণায় পরিপূর্ণ হয়ে যায়।কার্যালয়ের সামনের দু’পাশের সড়ক বন্ধ হয়ে যায়। সমাবেশে কেন্দ্র করে বিপুল সংখ্যক আইন-শৃঙ্খলা বাহিনীর উপস্থিতি লক্ষ্য করা গেছে।

মির্জা ফখরুল বলেন, আজকে খেটে খাওয়া শ্রমিকরা চাল-ডাল, তেল কিনতে হিমশিম খাচ্ছেন। কেউ চিকিৎসা পায় না। লুট করে বিদেশে টাকা পাচার করেছেন। সেনাবাহিনীর সাবেক প্রধান লুটের সঙ্গে জড়িত। আমরা চিন্তা করতে পারি না। তিনি দেশের গণতন্ত্র ধ্বংসের সঙ্গে জড়িত। আজকে পুলিশের সাবেক প্রধান দুর্নীতির সঙ্গে জড়িত। এনবিআরের কর্মকর্ত জড়িত। এমন আরও অনেকেই আছে। কিন্তু রাঘববোয়ালদের ধরা হয় না।

তিনি বলেন, খালেদা জিয়া আমাদের গণতন্ত্র ও আন্দোলনের প্রতীক। তাকে রক্ষা করতে হলে ও গণতন্ত্র পুনরুদ্ধার করতে হলে সবাইকে ঐক্যবদ্ধ হতে হবে। অন্যান্য রাজনৈতিক দলগুলোকে বলবো- আসুন আমরা ঐক্যবদ্ধভাবে খালেদা জিয়ার মুক্তির জন্য লড়াইয়ে শামিল হই। তরুণ-যুবকদের হাতেই দেশের ভবিষ্যত। আমাদের ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান চেষ্টা করে যাচ্ছেন। তার প্রতি চরম অন্যায় করা হয়েছে। মিথ্যা মামলায় সাজা দিয়ে তাকে নির্বাসিত করা হয়েছে।

বিএনপির মহাসচিব বলেন, সরকার ভারতের সঙ্গে দেশবিরোধী চুক্তি করেছি। আমরা পানি চাই, অভিন্ন নদীর পানির হিস্যা চাই। সীমান্ত হত্যার বিচার চাই। আজকে শেখ হাসিনা সবকিছু উজাড় করে ভারতকে দিয়ে দিয়েছেন। বিনিময়ে বাংলাদেশের মানুষ কিছুই পাইনি। বরং তারা পেয়েছে ঘৃণা এবং তাদের সম্পদ লুট করা হয়েছে। এই সরকার ক্ষমতায় থাকা মানে দেশ ধ্বংস করা। সুতরাং নিজেদের রক্ষা করতে হলে আমাদের আন্দোলন আরও তীব্র করতে হবে।

বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য মির্জা আব্বাসের সভাপতিত্বে ও প্রচার সম্পাদক সুলতান সালাউদ্দিন টুকুর সঞ্চালনায় আরো বক্তব্য রাখেন, বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য নজরুল ইসলাম খান, আমির খসরু মাহমুদ চৌধুরী, বেগম সেলিমা রহমান, ভাইস-চেয়ারম্যান বরকত উল্লাহ বুলু, শামসুজ্জামান দুদু , মো. শাহজাহান, নিতাই রায় চৌধুরী, আহমেদ আযম খান, চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা ডা. ফরহাদ হালিম ডোনার, মিজানুর রহমান মিনু, জয়নুল আবদীন ফারুক, সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী, যুগ্ম মহাসচিব খায়রুল কবির খোকন, হাবিব উন নবী খান সোহেল, শহীদ উদ্দীন চৌধুরী এ্যানি, অ্যাডভোকেট আব্দুস সালাম আজাদ, সৈয়দ এমরান সালেহ প্রিন্স, সাংগঠনিক সম্পাদক কাজী সাইয়েদুল আলম বাবুল, বাণিজ্য বিষয়ক সম্পাদক সালাউদ্দিন আহমেদ, চেয়ারপারসনের বিশেষ সহকারী শামসুর রহমান শিমুল বিশ্বাস, স্বনির্ভর বিষয়ক সম্পাদক শিরিন সুলতানা, ঢাকা মহানগর দক্ষিণ বিএনপির সাবেক সদস্য সচিব রফিকুল আলম মজনু, উত্তর বিএনপির সাবেক সদস্য সচিব আমিনুল হক, মহিলা দলের সভাপতি আফরোজা আব্বাস, স্বেচ্ছাসেবক দলের সভাপতি এসএম জিলানী, ছাত্রদলের সভাপতি রাকিবুল ইসলাম রাকিব, সাধারণ সম্পাদক নাছির উদ্দিন নাছির।

এছাড়াও বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান এয়ার ভাইস মার্শাল (অব.) আলতাফ হোসেন চৌধুরী, আব্দুল আউয়াল মিন্টু, ড. আসাদুজ্জামান রিপন, বিএনপি চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা হাবিবুর রহমান হাবিব, নির্বাহী কমিটির সদস্য মো. মাইনুল ইসলাম, যুব দলের সাবে সভাপতি সাইফুল আলম নীরব, সহ সভাপতি এসএম জাহাঙ্গীর হোসেন, স্বেচ্ছাসেবক দলের সভাপতি এসএম জিলানী, সহ সভাপতি সরদার নুরুজ্জামান, সাংগঠনিক সম্পাদক নাজমুল হাসানসহ বিএনপি ও তার অঙ্গ সংগঠনের লক্ষ লক্ষ নেতাকর্মী উপস্থিত ছিলেন।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *