সংকট মোকাবিলায় সম্মিলিত গণআন্দোলন সময়ের দাবি—ছাত্রশিবির সভাপতি
নিউজ দর্পণ, ঢাকা: বাংলাদেশ ইসলামী ছাত্রশিবিরের কেন্দ্রীয় সভাপতি মঞ্জুরুল ইসলাম বলেছেন, “আওয়ামী অপশাসনের কারণে আজ দেশের মানুষ ঠিকমতো মাহে রমাদানও পালন করতে পারছে না। দ্রব্যমূল্যের ঊর্ধ্বগতির কারণে জনজীবন দুর্বিষহ হয়ে পড়েছে। পবিত্র রমাদান মাস তাকওয়া অর্জনের পাশাপাশি দুঃশাসন ও ইসলামবিরোধী কর্মকাণ্ড প্রতিহত করার মাস। এ অবস্থায় সংকট মোকাবেলায় সম্মিলিত গণআন্দোলন সময়ের দাবি।” ছাত্রশিবিরের উদ্যোগে বন্ধুপ্রতিম ছাত্রসংগঠনের নেতৃবৃন্দের সম্মানে আজ রাজধানীর একটি হোটেলে আয়োজিত ইফতার মাহফিলে সভাপতির বক্তব্যে তিনি এ কথা বলেন। শিবির সেক্রেটারি জেনারেল জাহিদুল ইসলামের পরিচালনায় ইফতার মাহফিলে বক্তব্য রাখেন বাংলাদেশ ইসলামী ছাত্র মজলিসের কেন্দ্রীয় সভাপতি বিলাল আহমাদ চৌধুরী, জাতীয় ছাত্রসমাজের কেন্দ্রীয় সভাপতি কাজী ফয়েজ আহমদ ও সাধারণ সম্পাদক মেহেদী হাসান, ছাত্র জমিয়ত বাংলাদেশের কেন্দ্রীয় সভাপতি নিজাম উদ্দিন আল আদনান ও সাধারণ সম্পাদক খালেদ মাহমুদ, জাগপা ছাত্রলীগের কেন্দ্রীয় সভাপতি আব্দুর রহমান ফারুকী, জাতীয়তাবাদী গণতান্ত্রিক ছাত্র আন্দোলনের কেন্দ্রীয় সভাপতি মাসুদ রানা জুয়েল, বাংলাদেশ খেলাফত ছাত্র মজলিসের কেন্দ্রীয় সভাপতি মুহাম্মাদ কামাল উদ্দীন, বাংলাদেশ ইসলামী ছাত্র সমাজের কেন্দ্রীয় সভাপতি এহতেশামুল হক সাখী, ছাত্র ফোরামের (মন্টু) কেন্দ্রীয় সভাপতি সানজিদ রহমান শুভ, নাগরিক ঐক্যের আহবায়ক মোশাররফ হোসেন, মুসলিম ছাত্রলীগের কেন্দ্রীয় সভাপতি নুরে আলম ও সাধারণ সম্পাদক কাউসার আহমেদ, গণতান্ত্রিক ছাত্রদলের সেক্রেটারি কাজী কামরুল হাসান, বাংলাদেশ ছাত্রমিশনের ভারপ্রাপ্ত সেক্রেটারি জেনারেল আরিফ সৈকত। নেতৃবৃন্দ ঐক্যবদ্ধভাবে ইসলাম ও দেশের স্বার্থে কাজ করে যাওয়ার প্রয়োজনীয়তার প্রতি গুরুত্ব আরোপ করেন। এ ছাড়াও ইফতারে ছাত্রশিবির ও বন্ধুপ্রতিম ছাত্রসংগঠনের কেন্দ্রীয় নেতৃবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন। শিবির সভাপতি বলেন, “দেশে শুধু নজিরবিহীন অপশাসনই চলছে না বরং আগামীর বাংলাদেশকে ধ্বংস করে দেওয়ার সকল আয়োজন প্রায় সম্পন্ন করা হয়েছে। আর এ ষড়যন্ত্র বাস্তবায়ন করার জন্য শিক্ষাব্যবস্থাকে লক্ষ্যবস্তু করা হয়েছে। জাতির সত্তার সাথে মিশে থাকা ইসলামী ভাবধারা, সামাজিক রীতিনীতি, সমৃদ্ধ ইতিহাস-ঐতিহ্য, গৌরবগাথা ও নিজস্ব সত্তাকে সমূলে ধ্বংস করে দেওয়ার জন্য সর্বগ্রাসী ষড়যন্ত্র বাস্তবায়ন হচ্ছে। এ অবস্থায় শিক্ষা সংকট নিয়ে সম্মিলিত গণআন্দোলন সময়ের দাবি।” তিনি বলেন, “ক্যাম্পাসে ছাত্রলীগ সন্ত্রাসের রাজত্ব কায়েম করেছে। এখন তারা ইফতার মাহফিলে হামলা চালিয়ে রোজাদার শিক্ষার্থীদের রক্তাক্ত করছে। ফলে শিক্ষার্থীদের ভবিষ্যৎ নিয়ে সর্বমহলে উদ্বেগ-উৎকণ্ঠা আরো বেড়ে গেছে। এ অবস্থার পরিবর্তনে দেশ ও ইসলাম প্রিয় ছাত্রসংগঠনগুলোকে ক্যাম্পাসমুখী হওয়া জরুরি। সন্ত্রাস ও অনিয়মের বিরুদ্ধে ঐক্যবদ্ধ কর্মসূচি পালনও জরুরি। ছাত্রদের অধিকার নিয়ে ছাত্রসংগঠনগুলোকেই কাজ করতে হবে। একই সাথে মানুষকে দুর্বিষহ জীবন থেকে মুক্তি দিতে ফ্যাসিবাদ বিদায়েও ছাত্রসমাজকে ঐক্যবদ্ধভাবে কাজ করতে হবে।” তিনি আশাবাদ ব্যক্ত করে বলেন, “আমাদের আজকের এই মিলনমেলা নতুন দিগন্তের সূচনা করবে। আগামীর আন্দোলন-সংগ্রামের জন্য আমাদের মিলিত শক্তির এক মাইলফলক হয়ে দাঁড়াবে, ইনশাআল্লাহ।”