শাহজাহান সিরাজ চলে যাওয়ায় রাজনীতিতে বিরাট শূন্যতা সৃষ্টি হলো: মির্জা ফখরুল
নিউজ দর্পণ, ঢাকা: মহান স্বাধীনতার ইশতেহার পাঠকারী, মুক্তিযুদ্ধের অন্যতম সংগঠক ও পরিবেশমন্ত্রী শাহজাহান সিরাজ এই সময়ে যাওয়াটা বাংলাদেশের রাজনীতিতে একটা বিরাট শূন্যতা সৃষ্টি করলো। এই শূন্যতা পুরণ হবার নয় বলে মন্তব্য করেছেন বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর।
এর আগে মহান স্বাধীনতার ইশতেহার পাঠকারী, মুক্তিযুদ্ধের অন্যতম সংগঠক, ৪ বারের সাবেক সংসদ সদস্য এবং সাবেক বন ও পরিবেশমন্ত্রী শাহজাহান সিরাজের প্রতি শেষ শ্রদ্ধা জানিয়েছে বিএনপি। আজ মঙ্গলবার রাতে গুলশানের বাসায় লাশবাহীর অ্যাম্বুলেন্সের রাখা মরদেহের সামনে বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর তার প্রতি শ্রদ্ধা জানান। এই সময়ে কাঁচঘেরা মরদেহের সমানে তিনি কিছুক্ষন নিরবে দাঁড়িয়ে ছিলেন।
শ্র্রদ্ধা নিবেদনের সময়ে দলের চেয়ারপারসনের বিশেষ সহকারি শামসুর রহমান শিমুল বিশ্বাস, প্রেস উইংয়ের সদস্য শায়রুল কবির খান, স্থায়ী কমিটির সদস্য ইকবাল হাসান মাহমুদ টুকুর ছেলে আবেদ আহমেদ প্রমূখ ছিলেন।
পরে বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর গণমাধ্যমের সাংবাদিকদের কাছে বলেন, ‘তার (শাহজাহান সিরাজ) এই চলে যাওয়াটা বাংলাদেশের রাজনীতিতে একটা বিরাট শূন্যতা সৃষ্টি করলো। এই শূন্যতা পুরণ হবার নয়।
আমরা জাতীয়তাবাদী দলের পক্ষ থেকে, আমাদের চেয়ারপারসন দেশনেত্রী বেগম খালেদা জিয়ার পক্ষ থেকে, আমাদের ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের পক্ষ থেকে তার প্রতি শ্রদ্ধা জানাচ্ছি, গভীর শোক জানাচ্ছি এবং আল্লাহ তায়ালার কাছে দোয়া করছি তিনি যেন তাকে বেহেস্ত নসিব করেন। পরিবারের সদস্যদের প্রতি সমবেদনা জ্ঞাপন করেন বিএনপি মহাসচিব।
মির্জা ফখরুল তার বর্ণাঢ্য রাজনৈতিক জীবন ইতিহাস তুলে ধরে বলেন, ‘জনাব শাহজাহান সিরাজ বাংলাদেশের ইতিহাসের একটা অবিচ্ছেদ্য অংশ। স্বাধীনতা সংগ্রাম, স্বাধীনতা যুদ্ধে অন্যতম নায়ক ছিলেন তিনি। দীর্ঘকাল তার শৈশব থেকে কৈশোর এবং ছাত্র অবস্থাতে এদেশের স্বাধীনতার জন্য তিনি সংগ্রাম করেছেন, গণতন্ত্রের জন্য সংগ্রাম করেছেন, মানুষের অধিকার আদায়ের সংগ্রাম করেছেন।
তিনি বলেন, স্বাধীনতা যুদ্ধের নেতৃত্ব দিয়েছেন এবং পরবর্তীকালে স্বৈরাচারের বিরুদ্ধে, একদলীয় একনায়ক শাসনের বিরুদ্ধেও তিনি সংগ্রাম করেছেন, জনগণের অধিকার ফিরিয়ে আনার জন্য এবং জনগণের অধিকার রক্ষার জন্য শাহজাহান সিরাজ সংগ্রাম করেছেন, লড়াই করেছেন। এদেশের মানুষের কল্যাণের জন্য তিনি আজীবন কাজ করেছেন। অসুস্থ হওয়ার আগ পর্যন্ত তিনি এদেশের মানুষের কল্যাণের কথাই চিন্তা করেছেন।
এর আগে মির্জা ফখরুল গুলশানের ২৩ নং সড়কের ২৮ নম্বর বাসা গিয়ে প্রয়াত নেতার স্ত্রী রাবেয়া সিরাজের সাথে কথা বলেন এবং তাকেসহ পরিবারের সদস্যদের সাত্বনা দেন। এ সময়ের তার কন্যা ব্যারিস্টার শুক্লা সিরাজ ও জামাতা ওমর সাহাদাত উপস্থিত ছিলেন।
বিকাল সাড়ে তিনটায় এভার কেয়ার হাসপাতালে চিকিতসাধীন অবস্থায় মারা যান শাহজাহান সিরাজ।শাহজাহান সিরাজের মৃত্যু সংবাদের পর বিএনপিতে শোকের ছাযা নেমে আসে। অনেকে গুলশানের বাসায় এসে তার প্রতি শ্রদ্ধা নিবেদন করেন।