বন্ধুদের কথা শুনে ভালো লেগেছিল:সাবিলা নূর
নিউজ দর্পণ, ঢাকা: লকডাউন থেকে মুক্ত হয়ে দীর্ঘদিন পর কাজে ফিরেছেন মডেল-অভিনেত্রী সাবিলা নূর। আসছে ঈদের কাজ নিয়েই এখন ব্যস্ত আছেন। এদিকে শোবিজে ১০ বছর পার করতে চলছেন এই অভিনেত্রী। ২০১০ সালে গ্রামীণফোনের প্রথম ফটোশুট দিয়ে তার যাত্রা শুরু হয়েছিলো। সাবিলা বলেন, গ্রামীনফোনের সেই ফটোশুটের পর রেদওয়ান রনি পরিচালিত ‘ইউটার্ন’ ছিল প্রথম টেলিফিল্ম। প্রথম টেলিফিল্ম করেই অনেক সাড়া পেয়েছিলাম। আর প্রথমবারের মতো বিলবোর্ড মডেল হয়েছিলাম হাসমার্কা নারিকেল তেলের। এটাও ২০১০ সালেই।
বিলবোর্ডে আমার চেহারা ভালোভাবে বোঝা যায়নি। তবুও আমার বন্ধুরা তখন আমাকে বলেছিল, তোর বিলবোর্ড দেখেছি, খুব ভালো লেগেছে। এসব কথা শুনে আমারও ভালো লেগেছিল, আবার মনও খারাপ হয়েছিল একটু। কারণ ছবিতে আমার চেহারা আমারই পছন্দ হয়নি। শুটিংয়ে ফেরা নিয়ে এই অভিনেত্রী বলেন, লকডাউনের কারণে অনেক দিন ঘরবন্দি কেটেছে। শুটিং করতে পারিনি। ঈদ উপলক্ষে বেশকিছু নাটকে আমাকে দেখা যাবে। আর আগের থেকে এখন শুটিংয়ে অনেক সতর্ক থাকতে হচ্ছে। স্বাস্থ্যবিধি মেনে কাজ করা কঠিন, তারপরও চেষ্টা করছি কাজ করার। করোনা ভাইরাস পরিস্থিতিতে সাবিলার অভিজ্ঞতা কী হয়েছে? উত্তরে তিনি বলেন, করোনার কারণে অনেক নতুন অভিজ্ঞতা হয়েছে। অনেকদিন ধরেই সময় পাচ্ছিলাম না। এবার যেহেতু সময় পেয়েছি তাই পিয়ানো শিখলাম। অনলাইনে পরীক্ষা দিয়েছি, এটাও একটা নতুন অভিজ্ঞতা। এখন ইউটিউবের জন্য ভিডিও নির্মাণ করছি, সেটাও এক নতুন অভিজ্ঞতা। সাবিলা যোগ করে আরো বলেন, প্রায় তিন মাস হলো ইউটিউব চ্যানেল খুলেছি। ভিডিও নির্মাণের জন্য অনেক কিছুই শিখতে হয়েছে। ইউটিউব চ্যানেল চালানো সহজ না। লাইট, ক্যামেরা ঠিক রেখে ভিডিও শুট নিজেই করছি। ভিডিওর মান ঠিক রাখার জন্য সম্পাদনার কাজও আমাকে করতে হচ্ছে। অনেক কিছুই জানতাম না। একটু একটু শিখে নিয়েছি, এখনো শিখছি। বেশকিছু ভিডিও আপ করেছি আমার চ্যানেলে। যে কয়টি ভিডিও প্রকাশ করেছি, সব কটিতেই দর্শকের প্রশংসা পেয়েছি। এভাবে দর্শকের সঙ্গে যোগাযোগটাও বাড়ছে।