নায়ক ফারুকের রক্তে টিবি
নিউজ দর্পণ, ঢাকা: ঢাকাই চলচ্চিত্রের কিংবদন্তি অভিনেতা ও ঢাকা-১৭ আসনের সংসদ সদস্য আকবর হোসেন পাঠান ফারুককে গুরুত্ব অসুস্থ অবস্থায় উন্নত চিকিৎসার জন্য সিঙ্গাপুরে নেয়া হয়েছে। বর্তমানে মাউন্ট এলিজাবেথ হাসপাতালে চিকিৎসা চলছে ‘সুজন সখী’ ছবির এই নায়কের। সেখানে সঙ্গে রয়েছেন তার স্ত্রী ফারহানা ফারুক।
দীর্ঘদিন জ্বরে ভুগার পর রাজধানীর বড় দুটি হাসপাতালে চিকিৎসা নিয়েও তার শারীরিক অবস্থার উন্নতি হচ্ছিল না। পরে গত ১৩ সেপ্টেম্বর স্ত্রীকে নিয়ে সিঙ্গাপুরে স্বাস্থ্য পরীা করাতে যান বর্ষীয়ান এ অভিনেতা।
সিঙ্গাপুরে কিছু পরীা করার পর ফারুকের রক্তে টিবি ধরা পড়েছে এবং সে অনুযায়ীই বর্তমানে চিকিৎসা চলছে বলে ফারুক নিজেই জানিয়েছেন।
মাউন্ট এলিজাবেথ হাসপাতালে ভর্তির পরই ফারুক ও ফারহানাকে কোয়ারেন্টিনে নেয়া হয়। ফলে পাশাপাশি রুমে থেকেও গত ১৪ দিন তাদের দেখা হয়নি। যোগাযোগ হয়েছে ফোন ও ভিডিও কলে। ১৪ দিনের কোয়ারেন্টিন পর্ব শেষে রোগশয্যায় স্ত্রীকে কাছে পেলেন ফারুক।
শারীরিক অবস্থা সম্পর্কে অসংখ্য ছবির এই জনপ্রিয় নায়ক বলেন, ‘বেশ ভালোই আছি, আলহামদুলিল্লাহ। বেশ কিছু টেস্ট করা হয়েছে। আমার রক্তে টিবি রোধ ধরা পড়েছে। এখানে ডাক্তার লাই চুংসহ ৪ জন বিশেষজ্ঞের অধীনে আমার চিকিৎসা চলছে।’
আগামী ৪ সপ্তাহ অবজারভেশনে থাকতে হবে। সবার কাছে দ্রুত আরোগ্য লাভের জন্য দোয়া চেয়েছেন এই চিত্রনায়ক।
নায়ক ফারুক ১৯৪৮ সালের ১৮ আগস্ট জন্মগ্রহণ করেন। ১৯৬৬ সালে ছয় দফা আন্দোলনে যোগ দেন। ১৯৭১ সালে বাংলাদেশের মহান মুক্তিযুদ্ধে অংশগ্রহণ করেন। তিনি বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের স্নেহভাজন ছিলেন। বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান তাকে চলচ্চিত্রে অভিনয়ের জন্য অনুপ্রাণিত করেছিলেন।
১৯৭১ সালে এইচ আকবর পরিচালিত ‘জলছবি’ চলচ্চিত্রে অভিনয়ের মাধ্যমে তার রুপালি পর্দায় অভিষেক ঘটে। ‘লাঠিয়াল’, ‘সুজন সখী’, ‘নয়ন মণি’, ‘সারেং বৌ’, ‘গোলাপী এখন ট্রেনে’, ‘সাহেব’, ‘আলোর মিছিল’, ‘দিন যায় কথা থাকে’, ‘মিয়া ভাই’সহ শতাধিক চলচ্চিত্রে অভিনয় করেছেন ফারুক।
‘লাঠিয়াল’ ছবিতে দুর্দান্ত অভিনয়ের স্বীকৃতিস্বরূপ ১৯৭৫ সালে শ্রেষ্ঠ পার্শ্ব অভিনেতা হিসেবে জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কার লাভ করেন ফারুক। বাংলাদেশের চলচ্চিত্রে অসামান্য অবদানের স্বীকৃতিস্বরূপ ২০১৬ সালে পান আজীবন সম্মাননা।