ঢাকা উত্তর স্বেচ্ছাসেবক দলের পদবঞ্চিতদের ঝাড়ু মিছিল
নিউজ দর্পণ, ঢাকা: সদ্য ঘোষিত নতুন ২১ থানার আহ্বায়ক কমিটি বাতিলের দাবিতে ঝাড়ু হাতে বিক্ষোভ মিছিল করেছেন ঢাকা মহানগর উত্তর স্বেচ্ছাসেবক দলের বিভিন্ন থানার পদবঞ্চিত নেতাকর্মীরা।
আজ শনিবার দুপুরে নয়াপল্টনে বিএনপির কেন্দ্রীয় কার্যালয়ের সামনের সড়কে এই কর্মসূচি পালন করেন তারা। পরে একই দাবিতে বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম-মহাসচিব রুহুল কবির রিজভীর মাধ্যমে দলের ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের কাছে স্মারকলিপি দেন তারা।
সম্প্রতি মহানগর উত্তরের সভাপতি ফখরুল ইসলাম রবিন ও সাধারণ সম্পাদক গাজী রেজওয়ানুল হোসেন রিয়াজ দুই দফায় ২১টি থানার আহ্বায়ক কমিটি অনুমোদন দিয়ে গণমাধ্যমে পাঠান।
পদবঞ্চিতদের অভিযোগ, আমরা দীর্ঘদিন ধরে রাজপথের আন্দোলন সংগ্রাম করছি, সরকারের নানা জেল-জুলুম ও নির্যাতনের শিকার হয়েছি, পরিবার-পরিজন নানাভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। কিন্তু আন্দোলনের সময় আমরা, আর কমিটি গঠনের সময় অর্থ বাণিজ্যের মাধ্যমে কেন সুবিধাভোগীদের পদ দেয়া হয়? কেন আমাদের মতো ত্যাগী নেতাকর্মীদের বাদ দেয়া হয়। কমিটি গঠনে কেন আমাদের সঙ্গে ন্যূনতম আলোচনা করারও প্রয়োজন মনে করে না? দল যদি তদন্ত করে, তাহলে ঘোষিত কমিটিতে আওয়ামী পরিবারের লোকজনও পাওয়া যাবে।
তারা আরও বলেন, এখন নিজেরা বাঁচার জন্য দলে একটা নতুন ফর্মুলা চালু হয়েছে। ওয়ার্ড, থানা কমিটি করেও তারেক রহমানের নামে চালিয়ে দেয়া হয়। আমাদের প্রশ্ন তারেক রহমান কি এসব কোনো নেতাকে চেনেন?
স্বেচ্ছাসেবক দলের কাফরুল থানার বিদায়ী কমিটির সভাপতি গোলাম কিবরিয়া শিপু বলেন, আমাদের কর্মসূচিতে ঢাকা মহানগরের বিভিন্ন থানার সাত থেকে আট’শ নেতাকর্মী ছিলেন। তাদের সবারই দাবি, ঘোষিত কমিটি বাতিল করতে হবে। আমরা চাই, সংগঠন শক্তিশালী করতে। কেউ কেউ বলার চেষ্টা করছে, আমরা দলের হাইকমান্ডকে চ্যালেঞ্জ করছি। কথাটা সঠিক নয়। যদি হাইকমান্ডকে ভুল বুঝিয়ে আমাদেরকে যদি বহিষ্কারও হতে হয় পিছপা হব না।
ঝাড়ু হাতে বিক্ষোভ মিছিলে আরও অংশ নেন- মোহাম্মদপুর থানার স্বেচ্ছাসেবক দলের নেতা মান্নান হোসেন, শিল্পাঞ্চল থানার হারুনুর রশীদ, উত্তরা পূর্বের শরীফ হোসেন, মির্জা খোরশেদ, তেজগাঁওয়ের মো. জহির হাওলার, মিরপুরের নাসিম হাইদার সুমন, অ্যাডভোকেট আবুল হাসান রিপন, সাইফুল ইসলাম সিজু, মির হোসেন মিরু, তানজিল ইসলাম তুহিন, উত্তরখানের শামীম হোসেন, উত্তরা পশ্চিমের মো. সেলিম হাওলাদার, দক্ষিণ খানের সাইফুল ইসলাম সুরুজ, তুরাগের শহিদুল ইসলাম দুলাল, শরিফুল ইসলাম শরিফ, আরাফাত হোসাইন, মো. সোহাগ, উত্তরা পশ্চিমের মুজাম্মেল হক ঢালী, তুসার আহাম্মেদ উত্তরা পূর্ব থানার কাজী ইমরান, কাজী ইরফান, সোহাগ রানা, শেরেবাংলা নগর থানার নাছির আহাম্মেদ, সোহেল রানা প্রমুখ।
এ বিষয়ে জানতে চাইলে ঢাকা মহানগর উত্তর স্বেচ্ছাসেবক দলের সভাপতি ফখরুল ইসলাম রবিন বলেন, দীর্ঘদিন থেকে মহানগরের থানা কমিটি হয় না। কোনো কোনো কমিটি ১৬ বছর ২০ বছর আগেও হয়েছিল। যার কারণে বড় একটা গ্যাপ হয়েছে। তাই নেতৃত্বেও প্রতিযোগিতার কারণে একটু ক্ষোভ-বিক্ষোভ হওয়া স্বাভাবিক। আশা করি, সব ঠিক হয়ে যাবে। কারণ, নতুন কমিটিতে যারা এসেছেন তাদের সবারই যোগ্যতা, ত্যাগ রয়েছে। এখানে অনৈতিক কোনো লেনদেন হওয়ার সুযোগ নেই।