ডিসেম্বর নয়, করোনার কথা অনেক আগে থেকেই জানত চীন: গবেষক
নিউজ দর্পণ ডেস্ক: করোনার ভাইরাসের খবর ডিসেম্বরের আগেই চীন জানত বলে দাবি করেছেন বিস্ফোরক অভিযোগ পালিয়ে আসা গবেষক ড. লি মেং ইয়াং। লি বলছেন, ‘ডিসেম্বর নয়, করোনার কথা অনেক আগে থেকেই জানত চীন’। তার আরো অভিযোগ, ‘তার গুরুত্বপূর্ণ গবেষণা করোনা প্রতিরোধে ভূমিকা নিতে পারত। কিন্তু তাকে পাত্তাই দেয়নি নামজাদা বিশেষজ্ঞরা’।
ড. লি মেং ইয়াং, হংকংয়ের ভাইরাস বিশেষজ্ঞ। গত ২৮ এপ্রিলে চীন থেকে যুক্তরাষ্ট্রে যান। পালিয়ে আসার এতদিন পর মার্কিন সংবাদমাধ্যম ফক্স নিউজে মুখ খুলে এমনই সব বিস্ফোরক দাবি জানাচ্ছেন লি মেং ইয়াং। যেভাবে তিনি দেশে ছাড়েন তাকে ‘এক কাপড়ে পালিয়ে আসা’ এভাবেই ব্যখ্যা করা যায়। শুধু পাসপোর্ট আর টাকার ব্যাগ ছাড়া কিছুই নিয়ে আসতে পারেননি এই ভাইরাস বিজ্ঞানী। কারণ তিনি জানতেন, ঘুণাক্ষরেও কেউ টের পেলে তাকে জেলে ভরা হবে। এমনকী গায়েব করাও হতে পারে।
লি মেং-এর পরিবার এখনো চীনেই রয়েছেন। দুঃস্বপ্নের মতো এই সময়ে লি নিজেকে বিশ্বাস করাচ্ছেন, আর দেখা হবে না তাদের কারো সঙ্গে। কারণ তার দৃঢ় ধারণা, চীন সরকার তাকে কঠিন শাস্তি দিতে চায়।
এদিন একটি গোপন স্থানে লি’র ইন্টারভিউ নেয় ফক্স নিউজ। সেখানে লি স্পষ্ট বলেন, “আমার অন্যায়, আমি প্রাণ বাঁচাতে আমেরিকায় পালিয়ে এসেছি। এবং সব খুলে বলছি।”
লি’র দাবি, অনেক আগেই তিনি এই ভাইরাসের বিষয়ে তার প্রতিষ্ঠানের শীর্ষকর্তাকে জানিয়েছিলেন। কিন্তু এর পরেই তার মতো ‘বিদেশিদের’ কাজ বন্ধ করে দেয় চীন। হংকংয়ের বাসিন্দা হয়েও কাজ চালিয়ে যাওয়ার অধিকার ছিল না তার।
চীনের পরিস্থিতি সম্পর্কে পর্যায়ক্রমে বিধ্বংসী সব তথ্য দিচ্ছেন লি। তার কথায়, “বহু রোগীই ঠিক মতো চিকিৎসা পরিষেবা পাচ্ছিল না। আমাদের চুপ করিয়ে রাখা হতো। মাস্ক পরে থাকতে হত শুধু।”
লি আরো অভিযোগ করেন, ‘এই গোটা ঘটনাই জানতেন হু-এর অনুমোদিত গবেষণাগারের প্রধান প্রফেসর মালিক পেইরিস।’ যদিও পেইরিস এই বিষয়ে কোনো মন্তব্য করতে চান নি। খবর ফক্স নিউজ।