জীবন ও জীবিকা রক্ষায় সবকিছু যখন আস্তে আস্তে খুলে যাচ্ছে : তথ্যমন্ত্রী
নিজস্ব প্রতিবেদক:
জীবন ও জীবিকা রক্ষায় সবকিছু যখন আস্তে আস্তে খুলে যাচ্ছে, প্রেসক্লাবও সেক্ষেত্রে সীমিত আকারে খুলে দেওয়ার বিষয়টি বিবেচনায় রাখা যেতে পারে বলে মন্তব্য করেছেন তথ্যমন্ত্রী ও আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ড. হাছান মাহমুদ ।
তিনি বলেন, করোনা পরিস্থিতিতে গণমাধ্যমের ভূমিকা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। এই ভাইরাসের প্রকোপ, ভয়াবহতা এবং প্রতিরোধের উপায় সম্পর্কে মানুষ যেন ঠিকভাবে জানতে পারে এবং একইসঙ্গে এসময় যারা কর্মে নিয়োজিত, তারা যাতে দায়িত্বশীল পদক্ষেপ গ্রহণ করেন, সেজন্য গণমাধ্যম শক্তিশালী ভূমিকা পালন করে।
আজ মঙ্গলবার (৭ জুলাই) সচিবালয়ে তথ্য মন্ত্রণালয়ের সভাকক্ষে জাতীয় প্রেস ক্লাবের পরিচালনা পর্ষদের সঙ্গে মতবিনিময়কালে তিনি এসব কথা বলেন।
তথ্যমন্ত্রী বলেন, ‘করোনার প্রাদুর্ভাবের শুরু থেকে গণমাধ্যমের প্রতি অনুরোধ ছিল— তারা যেন গুজব রটনাকারীদের বিরুদ্ধে সোচ্চার থাকে এবং গণমাধ্যম যাতে চালু থাকে। আমরা দেখছি, সব প্রতিকূলতা সত্ত্বেও গণমাধ্যম চালু আছে।’
অনেক সাংবাদিক করোনায় আক্রান্ত হয়েছেন এবং বেশ কয়েকজন ইতোমধ্যে মৃত্যুবরণ করেছেন উল্লেখ করে মন্ত্রী বলেন, ‘আমরা সাংবাদিক কল্যাণ ট্রাস্টের মাধ্যমে করোনায় এবং করোনা উপসর্গে মৃত্যুবরণকারী সাংবাদিকদের প্রত্যেক পরিবারকে তিন লাখ টাকা করে দেওয়ার সিদ্ধান্ত গ্রহণ করেছি। ইতোমধ্যেই ছয়টি পরিবারকে এ সহায়তা দেওয়া হয়েছে। এছাড়া, প্রধানমন্ত্রীর নির্দেশে করোনাকালে অসুবিধায় থাকা সাংবাদিকদের এককালীন ১০ হাজার টাকা করে সহায়তা দেওয়া হচেছ। সাংবাদিক ইউনিয়ন, প্রেসক্লাব ও ডিসি অফিস এ কাজে সহায়তা করছে।’
প্রেস ক্লাবের নেতারা সংগঠনটির আর্থিক সংকটে পড়ার বিষয়ে দৃষ্টি আকর্ষণ করলে তথ্যমন্ত্রী বলেন, ‘এটি নিয়ে আরও আলোচনা করে সিদ্ধান্ত নেওয়া যেতে পারে। তাছাড়া জীবন ও জীবিকা রক্ষায় সবকিছু যখন আস্তে আস্তে খুলে যাচ্ছে, প্রেসক্লাবও সেক্ষেত্রে সীমিত আকারে খুলে দেওয়ার বিষয়টি বিবেচনায় রাখা যেতে পারে।’
ড. হাছান মাহমুদ উল্লেখ করেন, মন্ত্রিপরিষদের পক্ষ থেকে প্রতিটি মন্ত্রণালয়ে চিঠি দেওয়ার ব্যবস্থা করেছিলাম, যাতে তারা সংবাদপত্রের বকেয়াগুলো পরিশোধ করে। এতে অনেকটা ইতিবাচক প্রভাব পড়েছে এবং প্রয়োজনে আবারও তাগিদ দেওয়া হবে। বকেয়া বিলগুলো পেলে সংবাদপত্রের সঙ্গে সংশ্লিষ্ট সাংবাদিক, কর্মচারীদের বেতন-ভাতা দেওয়া সহজ হয়, সেজন্যই এ পদক্ষেপ।
জাতীয় প্রেসক্লাবের সভাপতি সাইফুল আলমের নেতৃত্বে সাধারণ সম্পাদক ফরিদা ইয়াসমিন, সিনিয়র সহ-সভাপতি ওমর ফারুক, কোষাধ্যক্ষ শ্যামল দত্ত, যুগ্ম সম্পাদক মাইনুল আলম, নির্বাহী সদস্য কুদ্দুস আফ্রাদ, আবদাল আহমেদ ও জাহিদুজ্জামান ফারুক করোনাকালে গণমাধ্যম ও জাতীয় প্রেসক্লাব বিষয়ে খোলামেলা আলোচনায় অংশ নেন।